বারবার মিসক্যারেজ ? গর্ভধারণের আগে মাথায় রাখুন এই পরামর্শগুলো…

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গর্ভধারণ প্রত্যেক নারীর অত্যন্ত একটা আবেগের জায়গা এবং সেখানে সামান্যতম খামতি কেউ আনতে চায় না। কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে গর্ভপাত হয়, কিছু ক্ষেত্রে সেটা একবার এবং কিছু ক্ষেত্রে সেটা পর পর হয়ে থাকে। একবার গর্ভপাত হওয়া একটি সাধারন ঘটনা। কিন্তু যদি তা পর পর তিনবার বা তার বেশি হয়, তবে ডাক্তারি পরিভাষায় তাকে রেকারেন্ট মিসক্যারেজ বলে।


আবার যদি আল্ট্রা সোনোগ্রাফিতে শিশুর ফিটাল হার্টবিট শোনা যায় তবে গর্ভপাতের সমস্যা ৯৫ শতাংশ কমে যায়। গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চার স্পেশাল ট্র‌্যাক এবং ফিটাল হার্টবিট দেখা যায় আল্ট্রা সোনোগ্রাফিতে।


বেশিরভাগ সময়ে ঋতুস্রাব খানিকটা পিছিয়ে গেলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা না করেই অনেকে ভাবেন যে তিনি গর্ভবতী। কিন্তু তারপরে যখন ঋতুস্রাব পুনরায় শুরু হয় তখন সে মনে করে যে তার গর্ভপাত হয়ে গেছে। জেনে নিন কেন এমন হয়-


১। অনেক সময় জরায়ুর মাঝে সেপট্রাম নামক পর্দাটি গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। সেপট্রাম অপারেশন করলেই গর্ভাবস্থায় আর কোনও সমস্যা হয় না। আবার জরায়ুতে পলিপ, টিউমার হলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে, যা অপারেশন করে ঠিক করা যায়।


২। যদি ডিম্বাণুর সমস্যা থাকে তবে তা মায়ের ক্রোমোজোমাল টেস্ট করে ও যদি শুক্রাণুর সমস্যা হয় তাহলে বাবার ক্রোমোজোমাল টেস্ট করে ধরা পড়ে। কিন্তু বাবা-মায়ের কারও কোনও সমস্যা না থাকলেও ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনের সময়ে সমস্যা হলে সেটি ক্রোমোজোমের সমস্যা বলেই ধরা হয়।


৩। মায়ের কোনও অসুখ থাকলেও রক্ত জমাট বেঁধে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরের মধ্যে এমন কিছু প্রোটিন তৈরি হয় যার জন্য রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ভ্রূণ গঠন হওয়ার সময় জরায়ুতে অনবরত রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন হয় তাই সে সময় রক্ত পরিমিত না থাকলে গর্ভপাত হতে পারে।


৪। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডপ্রেসার, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলেও গর্ভপাত হতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকলেও এমন হয়। মেয়েদের ৩৫ বছরের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। ৩৫ বছরের পর থেকে ডিম্বাণুর গুণগত মান কমে যায় এবং ৩৭ বছরের পর থেকে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.