মুখের তিলও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: তিল নিয়ে নানা ধরনের সাহিত্য রচনা হয়েছে। কিন্তু জানেন কি তিল হতে পারে আপনার শরীরের এক বড় বিপদের কারণ। তিল থেকে যে রোগটি হতে পারে সেটি হল, ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা। সহজ ভাষায় যাকে বলে ত্বকের ক্যানসার।

মেলানোমা কী ও তা কোথায় হয়?


ত্বকের গভীরে অবস্থিত, মেলানিন কোষ যা কালো রং সৃষ্টি করে সেই কোষের ক্যানসারই হল, ত্বকের ক্যানসার। ত্বকের যে অংশে সূর্যের আলো বেশি পৌছায় ,যেমন ঘাড়, হাত, পা এইসব অংশে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও, চোখ, নাক, পায়ুপথ, যোনিপথ, এমনকী মস্তিষ্কের আবরণীতেও মেলানোমা হতে পারে।


মেলানোমারের প্রধান কারণ রোদ। শরীরে অতিরিক্ত তিল ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া পুরুষ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদেরও ঝুঁকি বেশি। যারা দীর্ঘ সময় রোদে কাজ করেন, তারাও ঝুঁকিতে আছেন। জিনগত কারণেও এটি হতে পারে।


সাধারণ লক্ষনগুলো কী কী


তিল বা আঁচিলের আকারের স্পষ্ট পরিবর্তন ক্যানসারের একটা লক্ষণ। তবে সব তিলই যে ক্যানসারে হবে এমন নয়। যে পরিবর্তনগুলো বিপদের আভাস হতে পারে সেগুলো এ, বি, সি, ডি দিয়ে প্রকাশ করা হয়।


এ (অ্যাসিমেট্রি বা অসাম্য): তিলটি বৃত্তাকার নয়। মাঝ বরাবর কোনো রেখা টানলে তার দুটি পাশ সমান আকারের হয় না।


বি (বর্ডার বা প্রান্ত): চারদিকের সীমানা সমান না হওয়া বা এবড়োখেবড়ো হওয়া।


সি (কালার বা রং): গোড়ায় তিলটির যে রং ছিল, পরে তার থেকে বদলে যাওয়া।


ডি (ডায়ামিটার বা ব্যাস): ৬ মিলিমিটারের বেশি বড় হওয়া।


এ ছাড়া কোনও তিল বা আঁচিলে রক্তপাত, চুলকানি হলেও তা বিপদের কারণ হতে পারে।


এই রোগের চিকিৎসা


* সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য দ্রুত শনাক্তকরণ জরুরি।


* তিল ক্যানসারে আক্রান্ত হলে, চিকিৎসকরা তা কেটে বাদ দেন। দরকার হলে আশপাশের লিম্ফ নোডও বাদ দিতে হয়।


* এর পরে দরকার মতো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।


কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়


রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি। দীর্ঘ সময় রোদে কাজ বা খেলাধুলা করলে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। কাপড় ও ছাতাও রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।


যাদের শরীরে অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত তিল আছে, তারা বেশি সতর্ক থাকবেন। তিলের ছবি তুলে রেখে তাতে কোনো পরিবর্তন (এ, বি, সি, ডি) হয় কি না, তা সময় সময় পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.