বেশি রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস? নিজের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছেন



ODD বাংলা ডেস্ক: সোনা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো’র অভ্যাস ছোটবেলা থেকে বড় হওয়ার পথেই হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মনকে গ্রাস করে চিন্তার কালো মেঘ। তাতেই উড়ে যায় ঘুম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বাঁচার অভ্যাস কমছে, বাড়ছে রাত জাগার পালা।আর রাতে জেগে থাকলে খিদে তো পাবেই! বেশির রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। তাতেই বাড়ছে বিপদ।


কীভাবে? 


বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খেতে যত রাত হয়, ততই দেরি হয় ঘুমোতে। এতে অনিদ্রার সম্ভাবনা ভীষণভাবে বেড়ে যায়। আবার ঘুম আসলেও নানা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখে মানুষ। কানাডার দুই গবেষকের দাবি, বেশি রাতে খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। তার জেরেই নানা উদ্ভট স্বপ্ন আসে। 


বেশি রাতে খাবার খেলে তা ভালভাবে হজম হয় না। ফলে অম্বলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গ্যাসের সমস্যাও দেখা যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও এই সমস্যা থেকে যায়। এই জন্য রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছুটা হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। 


শরীরের কিছু অভ্যাস থাকে। যা ছোটবেলায় মায়ের শাসনে একরকম থাকে, আবার বড়বেলায় নিজের প্রশ্রয়ে পালটে যায়। এতেই হয় বিপত্তি।  বেশি রাতে খাবার খাওয়ার ফলে ঘুমোতেও দেরি হয়। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়ে। অনেক সময় ওজন বাড়ার সমস্যাও হয়। 


সঠিক সময় রাতের খাবার না খেলে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। হতে পারে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের সমস্যা। যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে খাওয়া এবং ঘুম সময় মেনে হওয়া উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


রাতে দেরি করে খাওয়া ও ঘুমের অভ্যাসে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অকারণ চিন্তা বাড়ায় অ্যাংজাইটির সমস্যা। অনেকে আবার অবসাদেও ভোগেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.