সন্তানের প্রতি এই ১০টি ভুলের জন্য বাবা মায়েদের ভবিষ্যতে অনুশোচনা করতে হয়…
ODD বাংলা ডেস্ক: সব বাবা মায়েরাই তাদের সন্তানকে খুব ভালোবাসে। সবাই তার সন্তানের ভালো চায়। কিন্তু অনেক সময় হয় তার উলটো। আর বাবা মায়েরা হতাশ হয়ে ভাবতে থাকেন যে তাদের ভালোবাসায় কোথায় খামতি ছিল? তাদের প্রাথমিক কিছু ভুল হয় যা নজর এড়িয়ে যায়। সেই প্রাথমিক ভুলগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১। শিশুদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি না দেওয়া ঃ- শিশুদের প্রতি সব সময় দৃষ্টি রাখা জরুরি। তারা কি করছে তা নজর রাখা, তাদের সব সময় সঙ্গ দেওয়া ইত্যাদি। নাহলে তারা একাকীত্বে ভুগতে থাকে। আর এটা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।
২। আলিঙ্গন করা ঃ- শিশুদের মনোবিজ্ঞানীরা বলেন আলিঙ্গন খুব জরুরি শিশু বিকাশে। আলিঙ্গন করলে তাদের মধ্যে এই অনুভুতি জাগে যে তার মা বাবা তার সাথেই আছে। নাহলে তাদের মধ্যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়।
৩। শিশুদের সাথে ছবি তোলা ঃ- হয়তো অনেকেই ভাবছেন ছবি তোলা আর এমন কি ব্যাপার। কিন্তু ছোট বয়সে তুলে রাখা ছবি তারা যখন বড় হয়ে দেখবে তখন তাদের মধ্যে বাবা মায়ের প্রতি অন্য রকমের এক ভালোবাসা প্রকাশ পাবে।
৪। তার প্রথম কথা লিখে রাখা বা মনে রাখা ঃ- এই সুন্দর স্মৃতি গুলো মনে রাখলে ভবিষ্যতে আপনার সন্তান বুঝবে সে আপনাদের কাছে কতটা আদরের। তবুও অনেক বাবা মাই এই বিষয়টি উপলব্ধি করেন না। অথচ একটু মনোযোগী হলেই তা করা সম্ভব।
৫। সৃজনশীলতার প্রতি নজর দেওয়া ঃ- সৃজনশীল কাজে তাকে উৎসাহ দিলে তার মন খুব সুন্দর হয়ে উঠবে। রুচিশীল ও নান্দনিক হয়ে উঠবে। কিন্তু যদি তা না করেন তাহলে সে বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বড় হবে যার ফলাফল আপনাদেরই ভোগ করতে হবে।
৬। শিশুদের প্রতি কঠোর আচরণ না করা ঃ- কম বেশি ভুল সকলেই করে। তাই বলে তার সাথে খারাপ আচরণ করা কখনই উচিত হয়। বরং তাকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন কি ঠিক আর কি ভুল।
৭। শিশুর চাওয়াকে গুরুত্ব দিন ঃ- শিশুদের কিছু চাওয়া অপ্রাসঙ্গিক হয়, কিন্তু তার কথা না শোনা বা তার কথায় উত্তর না দেওয়া কোন সমাধান না। তাকে বুঝিয়ে বলুন সে ঠিক বুঝবে।
৮। শিশুদের আনন্দের ব্যবস্থা করুন ঃ- শিশুদের মন খুব কোমল হয়। তাদের সেই সুন্দর মনটাকে সুন্দর করেই রাখার চেষ্টা করুন। তাদের আনন্দের পরিবেশে বেড়ে উঠতে দিন। ফলে তারা ইতিবাচক জীবন যাপন করতে শিখবে।
৯। অন্যের কথায় কান দেবেন না ঃ- সমাজে অনেক রকম মানুষ আছে, আর তাদের অনেক রকম চাওয়া। ভিন্ন মানুষ ভিন্ন উপদেশ দেবে। এর কোনটাই ছোট্ট শিশুটির উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাকে তার মত করে বড় হয়ে উঠতে দিন।
১০। শিশুর গুরুত্বপূর্ন সময় কাছে থাকুন ঃ- এমন কিছু কিছু বিশেষ দিন বা সময় আছে যখন তারা আশা করে তার বাবা মা সেই সময়ে তার পাশে থাকবে, যেমন জন্মদিন, পুজো বা স্কুলে কোন অনুষ্ঠান। এই সময় গুলোতে তাদের সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করুন। নাহলে তারা খুব একাকীত্ব বোধ করে, অসহায় হয়ে পড়ে।
Post a Comment