ঠাকুরকে ভোগ দেওয়ার সময় আর প্রসাদ খাওয়ার সময় এগুলি অবশ্যই মানবেন, না হলে বিপদ হতে পারে
ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু নিয়ম অনুযায়ী দেবতাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার অর্পণ করা উচিৎ। সেক্ষেত্রে কখনই তেল, লবণ আর মরিচ বা লঙ্কা দেওয়া খাবার দেওয়া যায় না। একই ভাবে দেবতার খাবারে নুন মেশানো যায় না। দেবতার ভোগ ভক্তিভরে অর্পণ করা জরুরি।
হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী দেবতাকে নিবেদন করা ভোগের গুরুত্ব অপরিসীম। একই রকম গুরুত্ব প্রসাদের। ভগবানকে যে ভোগ নিবেদন করা হয় তা দেবতার আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়। যা প্রসাদ হিসেবে আমরা গ্রহণ করি। কিন্তু এক্ষেত্রে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হয়- যা একটু এদিক ওদিক হলে বিপদ ঘনীয়ে আসে।
প্রথমেই বলে রাখি হিন্দু নিয়ম অনুযায়ী দেবতাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার অর্পণ করা উচিৎ। সেক্ষেত্রে কখনই তেল, লবণ আর মরিচ বা লঙ্কা দেওয়া খাবার দেওয়া যায় না। একই ভাবে দেবতার খাবারে নুন মেশানো যায় না। দেবতার ভোগ ভক্তিভরে অর্পণ করা জরুরি। একইভাবে প্রসাদও গ্রহণ করতে হয় ভক্তিসহকারে আর শুদ্ধ মনে আর পরিচ্ছন্ন অবস্থায়। প্রসাদ সর্বদা প্রনাম করেই খেতে হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে প্রত্যেক দেবতাকে তাদের প্রিয় খাবার আর্পণ করা শ্রেয়। কৃষ্ণকে ভোগ দিলে অবশ্যই নাড়ু, মালপোমা নিবেদন করা জরুরি। তেমনই শিব ঠাকুরের জন্য কলা বা দুধের খাবার নিবেদন করতে হয়। কালী ঠাকুরকে অন্ন ভোগ নিবেদন করা হয়।
মনে রাখবেন ভোগ নিবেদন করার পর সঙ্গে সঙ্গে সেটি ঈশ্বরের কাছ থেকে সরিয়ে নেবেন না। কিছুক্ষণ নিভৃতে তা রেখে দিতে হয়।
জ্যোতিষ অনুসারে ভোগ সর্বদা দেবতার মূর্তি বা ছবির দক্ষিণ দিকে রাখতে হয়। দেবতার ডানদিকে কাঁচা খাবার রাখতে হয়। আর বাম দিকে রান্না করা খাবার নিবেদন করা শুভ।
মনে রাখবেন যদি কখনও আপনাকে প্রসাদ দেওয়া হয় তাহলে তা ফিরিয়ে দেবেন না। খেতে না ইচ্ছে করলেও সেটি গ্রহণ করবেন। পরে জলে ফেলে দিতে পারবেন। কিন্তু প্রসাদ না ফেলাই শুভ বলে মনে করা হয়। যাইহোক প্রদাস খাওয়ার সময় মাথায় একটা হাত রাখবেন।
প্রসাদ খেয়ে সর্বদাই হাত ধোবেন। আর হাত ধুয়ে প্রসাদ গ্রহণ করা শুভ।
দেবতার প্রসাদ বিলি করার সময় তা কাগজ বা পাতার থালায় বিলি করাই শুভ বলে মনে করা হয়। আর দেবতাকে সর্বদা তামা বা পিতলের পাত্রে ভোগ নিবেদন করবেন।
Post a Comment