বাড়িতে সাপ খোলস ছাড়লে বা সাপের খোলস পেলে কি করবেন…

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে আমরা বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছি, সব কিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করার চেষ্টা করি, সব কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুজি। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমরা পাই না। সেটা হতে পারে অলৌকিক বা প্রাকৃতিক। শত চেষ্টা করেও তার পিছনে বিজ্ঞানের কোনো যুক্তি খাড়া করতে পারিনা। আর এইসব কারনে আমরা অনেকেই এখনও বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলি।


বাড়িতে সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্যই হোক বা আর্থিক ভাবে সুখী থাকার জন্য আমরা বাস্তু মেনে চলি। সাপ শব্দটার মধ্যে একটা আলাদা আতঙ্ক আছে। অনেকেই আছেন যাদের বাকি প্রাণীদের প্রতি একটা সহানুভুতি রয়েছে, কিন্তু তাদেরও সাপের প্রতি একটা ভয় কাজ করে, তারাও সাপের প্রতি সহানুভুতি দেখায় না।


আর সাপ দেখলে তাকে প্রথমেই মেরে ফেলার কথা মাথায় আসে সাধারন মানুষের। কিন্তু সাপের খোলস গৃহস্থের জন্য খুবই মঙ্গলদায়ক। এরকমই একটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কর্ণাটকে। কর্ণাটকের কনকপুরা এখন দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।


সেখানে নতুন কোনো দেব দেবীর অস্তিত্বের খবর পাওয়া যায়নি, পাওয়া গেছে অদ্ভুত দর্শন সাপের খোলস। যে খোলসে সাপের সাতটি মাথা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে দ্বাবি করা হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের টুইটারে এর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে।


বুধবার সকালে এই খোলসটি পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় সুত্রে খবর। আর এইসব খবর প্রচার হতে বেশিক্ষন সময় লাগে না। আগুনের মত ছড়িয়ে পরেছে এই খবর। তার পর থেকে আশেপাশের মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সেখানে।


খোলসটি পাওয়া গেছে একটি শিব মন্দির থেকে কিছুটা দূরে। হিন্দু পুরানে সাত মাথাওয়ালা সাপের উল্লেখ আছে। আবার কর্ণাটকের মন্দিরে এরকম খোলস পাওয়া গেছে। এই খবরটি পাওয়ার পরে তিলধারনের জায়গা নেই ওই মন্দিরে। সবাই একবার করে সাত মাথাওয়ালা সাপের খোলস দেখতে আসছে। আপাত ভয়ঙ্কর এই জীবটির ছেড়ে যাওয়া খোলস গৃহীদের কাছে অত্যন্ত মঙ্গলদায়ক।


খোলসের সামান্য অংশ ক্যাশবাক্সে রাখলে বিপদমুক্ত হওয়া যায় আর আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটে। এছাড়া রুপোর মাদুলিতে সাপের খোলস ভরে ব্যবহার করলেও সুফল পাওয়া যায়। সাপের খোলসের সামান্য অংশ আলমারিতে রাখলে আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটে, আর এই বঙ্গভুমিতে সাপের অভাবও নেই তাই খোলস মেলাও দুষ্কর নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.