মহাকাশে এ কিসের ছবি? মহাকাশচারীর শেয়ার করা 'মহাজাগতিক দৃশ্যের' ব্যাখ্যা দিতে পারছে না বিজ্ঞানও

 


ODD বাংলা ডেস্ক: নিখুঁত এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টশনের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক মহকাশ স্টেশন থেকে একটি অস্বাভাবিক বা মহাজতিক ঘটনার ছবি  তুলে ধরেছেন এক রাশিযান নভশ্চারী। যদিও সেটির ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত কেউ দিতে পারেননি। 


নিখুঁত এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টশনের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক মহকাশ স্টেশন থেকে একটি অস্বাভাবিক বা মহাজতিক ঘটনার ছবি  তুলে ধরেছেন এক রাশিযান নভশ্চারী। যদিও সেটির ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত কেউ দিতে পারেননি। ছবিটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের একটি জানালায় তৈরি হয়েছে একটি বরফের স্ফটিক। এমনই দাবিকরে রাশিয়ান মহাকাশচারী সের্গেই করসাকভ ছবিটি শেয়ার করেছেন। আর সেই ছবিটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। 



মহাকাশ স্টেশনের যে জানালা দিয়ে এটি দেখা গেছে সেটি রাশিয়ানদের অধীনে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন কী করে এজাতীয় বরফের স্ফটিক তৈরি হতে পারে মহাকাশে। বরফের স্পটিকের ছবিটি টুইট করার সময় সের্গেই ক্যাপশানে লিখেছেন স্পেস স্টেশনের জানালায় স্পেস ফ্রেস্টওয়ার্ক। অর্থাৎ বরফের কাজ। 


মহাকাশচারীর শেয়ার করা ছবিটি নিয়ে ব্যবহারকারী ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা একাধিক ব্যাখাও দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন বৈশিষ্ট্যের বৃত্তের সীমানায় বেশিরভাগ বরফ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি দেখায় যে গঠন প্রক্রিয়াটি সবদিক থেকেই সমানভাবে  কাজ করছে। বৃত্তের প্রাপ্তে বরফ তৈরির জন্য একটি প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে কিন্তু তার বেশি যাওয়ার আগেই জলীয় বাষ্প নিঃশেষ হয়ে গেছে। 


IFLScience-র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ল্যাসিউলজিস্ট ডক্টর জেমস লিয়া বলেছেন, পুরোপুরি বৃত্ত কী করে তৈরি হয়েছে তার স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা নেই। জানালার কাচের তাপমাত্রা গ্রিডিয়েন্টের ফলাফলের কারণে এজাতীয় জিনিস তৈরি হয়েছে।- এমনটাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। এটি উইন্ডোর বৈশিষ্ট্যগুলির উপরও নির্ভর করতে পারে। একটি ফ্যাক্টর যা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। 


IFLScience- রিপোর্ট বলেছে নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ও জাপানি স্পেস এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সদস্যরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কারণ এটি রাশিয়ার রসকোসমসের অধীনে রয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে অধিকাংশ দেশের দূরত্ব বেড়েছে।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.