কোন সব্জি কাঁচা খেলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না?
ODD বাংলা ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে মরসুমি ফল ও অনেক শাকসব্জি কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তবে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে, যেগুলি আবার কাঁচা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন অনেকেই স্যালাডে কাঁচা টম্যাটো খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু টম্যাটোতে থাকা গ্লিকোলক্যালিওডস কাঁচা অবস্থায় খেলে বায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনই কিছু খাবার আছে যা, কাঁচা না খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন অনেক শাকসব্জি আছে যেগুলি রান্না করা হলে তার পুষ্টিগুণ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। জানেন সেগুলি কী?
পালংশাক: শরীরের পক্ষে এই শাক দারুণ উপকারী। এতে ভরপুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও জিঙ্ক থাকে। অনেক সময়ে আমরা স্যালাডে বা রকমারি রান্নায় হালকা সেদ্ধ করা পালংশাক ব্যবহার করি। পুষ্টিবিদদের মতে, এই শাক যত রান্না করবেন, তার পুষ্টিগুণ ততই বাড়বে। এই শাকে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে, তা শরীরে আয়রন ও ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। বেশি ক্ষণ ধরে রান্না করলে এই যৌগ ভেঙ্গে যায়, ফলে শরীর পুষ্টিগুণগুলি বেশি মাত্রায় শোষণ করতে পারে।
টম্যাটো: এই সব্জি রান্না করলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লাইকোপিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই যৌগ শরীরে গেলে হৃদ্রোগ ও ক্যানসারর ঝুঁকি কমে। তাই স্যালাডে কাঁচা টম্যাটো খাওয়ার চেয়ে রান্না করে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
গাজর: অনেকেই কাঁচা গাজর খেতে পছন্দ করেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা গাজরের তুলনায় রান্না করা গাজরে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। এই যৌগ শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি করে। ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, চোখ ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে উপকারী। রান্না করা গাজরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মান দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে সেদ্ধ করা গাজরের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।
ক্যাপসিকাম: চাইনিজ খাবার হোক কিংবা টুকিটাকি স্ন্যাকস, রান্নায় ক্যাপসিকাম পড়লে খুব বেশি রান্না করা হয় না! ক্যাপসিকাম হালকা কাঁচা খেতেই পছন্দ করেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যাপসিকামে থাকা ক্যারোটিনয়েডের কারণে তার পুষ্টিগুণগুলি শরীরে পৌঁছয় না। বাধা পায়। তাপ পেলে ক্যারোটিনয়েড ভেঙ্গে যায়। তখন শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টি পৌঁছায়।
Post a Comment