শ্মশানচারী অঘোরী সন্ন্যাসী, নরমাংস খাদক অঘোরী সন্ন্যাসীরা কোন মন্দিরে উপাসনা করেন, জানেন?
ODD বাংলা ডেস্ক: অঘোরী সন্ন্যাসীদেরদের নিয়ে এদেশে নানারকমের ধারণার প্রচলন রয়েছে। শুধু কি তাই, অঘোরী এবং নাগা সন্ন্যাসীদের নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলও অনেক। অনেকেই মনে করেন অঘোরপন্থা গুপ্ত ও গূহ্য আর তাই তাঁরা তাঁদের উপাসনাকে গোপন রাখেন। কিন্তু জানা যায়, অঘোরী সন্ন্যাসীরা আদৌ জন-বিচ্ছিন্ন নন। তাছাড়া, তাঁরা তাঁদের উপাসনাকেও গোপন রাখতে চান না।
ভারতবর্ষ এবং তার বাইরেও এমন কিছু মন্দির রয়েছে যেখানে অঘোরীরা উপাসনা করেন, সেগুলি হল-
- অঘোরীদের ঘাঁটি রয়েছে কাশীতে। সুপ্রাচীন এই শহরে তাঁদের নিয়মিত দেখতে পাওয়া যায়। সেখান থেকেই তাঁরা বিভিন্ন তীর্থে যান।
- কলকাতা শহরে অঘোরীদের দেখা মেলে প্রায়শই। কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর তাঁদের কাছে পবিত্র তীর্থস্থান। তবে, পশ্চিমবঙ্গে যে মন্দিরটিতে সারা বছরই অঘোরীদের দেখা মেলে, সেটি তারাপীঠ।
- গুপ্তকাশীর কালী মঠ আওর এক গুরুত্বপূর্ণ অঘোরী-তীর্থ। কেদারনাথের নিকটবর্তী এই তীর্থ একটি শক্তিপীঠ। সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এই পীঠস্থানে অঘোরীদের যাতায়াত অনাবিল।
- মাদুরাইয়ের কপিলেশ্বর মন্দিরটি অঘেরীদের প্রিয় তীর্থস্থান। এই মন্দিরের নিকটবর্তী একটি আশ্রমে তাঁরা প্রায়শই সমবেত হন।
- বিন্ধ্যাচলও অঘোরীদের কাছে পবিত্র উপাসনালয়। কাশীর কাছেই অবস্থিত এই শাক্ততীর্থে অঘোরীরা প্রায়ই সমবেত হন। দেবী বিন্ধ্যবাসিনীর মন্দিরকে ঘিরে প্রচুর গুহা রয়েছে। আর সেই গুহাগুলিই তাদের আস্তানা। এখানেই ধ্যান ও অন্যান্য ক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাঁরা।
- নেপালের কাঠমান্ডুর 'অঘোর কুটি' অঘোরীদের বহু প্রাচীন তীর্থ। কথিত রয়েছে, বাবা সিং শাবক নামের এক রামভক্ত সন্ন্যাসী এই তীর্থের প্রতিষ্ঠাতা।
- অঘোরপন্থীদের প্রধান গুরু কিনারাম হিংলাজ মাতার অশীর্বাদধন্য ছিলেন বলে বিশ্বাস। পাকিস্তানের মরুতীর্থ হিংলাজকে তাই অঘোরীরা অন্যতম গন্তব্য হিসেবে ধরেন।
- চিত্রকূটের দত্তাত্রেয় মন্দিরে ত্রিনাথের দর্শন অঘোরীদের কাছে পবিত্র কর্তব্য। কিংবদন্তি অনুসারে, দত্তাত্রেয় অঘোরপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। বেদ ও তন্ত্রের সম্মিলন তিনিই ঘটান বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই।
- সুদূর আফগানিস্তানের কাবুলেও অঘোরী তীর্থ বিদ্যমান। অঘোর রতনলালজি নামের এক সন্ন্যাসী এখানে প্রথম আসেন এবং আশ্রম তৈরি করেন। তাঁর প্রয়াণও হয় এখানেই। রতনলালজির সমাধি অঘোরীদের কাছে পবিত্র তীর্থ।
Post a Comment