ভূত কত প্রকার ও কি কি ? জানুন ভূত প্রেতের রহস্য…



ODD বাংলা ডেস্ক: বাংলা সাহিত্যে ভুত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলা রূপকথা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ভুতের উদাহরণ পাওয়া যায়। বিশ্বাস করার হয় ভুত হল সেইসব অশরীরী আত্মা যারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শান্তি খুজে পায়নি, বা পৃথিবীতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। যেমন খুন, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা। বাংলা লোককথায় বিভিন্ন ধরনের ভুতের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক তার সম্বন্ধে।


স্কন্ধ কাটা ঃ- এই ধরনের ভুতেদের মাথা থাকে না। এরা হল সেইসব লোকের আত্মা যাদের মৃত্যুর সময় মাথা কেটে গিয়েছিল। যেমন রেল দুর্ঘটনায়। এরা সব সময় তাদের হারানো মাথা খুজে বেড়ায় এবং মানুষকে আক্রমন করে তাদের দাসে পরিণত করে।


মেছো ভুত ঃ- এই ধরনের ভুতেরা মাছ খেতে বেশি পছন্দ করে। মেছো ভুত সাধারণত গ্রামের পুকুরপাড়ে বা লেকের ধারে যেখানে মাছ বেশি পাওয়া যায় সেখানে বসবাস করে। মাঝে মাঝে তারা রান্নাঘর বা জেলেদের নৌকা থেকে মাছ চুরি করে খায়।


নিশি ঃ- ভুতদের মধ্যে অন্যতম ভয়ঙ্কর হল নিশি। এই ভুত গভির রাতে শিকারকে তার প্রিয় মানুষের গলায় নাম ধরে ডাকে এবং বাইরে বের করে নিয়ে যায়। নিশির ডাকে সারা দিয়ে মানুষ সম্মহিত হয়ে ঘরের দরজা খুলে বেড়িয়ে যার, আর কখনও ফিরে আসে না। নিশিরা কোন মানুষকে দুবারের বেশি ডাকতে পারে না। তাই আপনাকে কেউ রাতে নাম ধরে ডাকলে তিনবার ডাকার পরই সারা দেবেন।


পেত্নী ঃ- পেত্নী হল নারী ভুত, যাদের বেঁচে থাকতে কিছু অতিরিক্ত আশা ছিল এবং অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। এইসব ভুত সাধারন যেকোনো আকৃতি ধারন করতে পারে। পেত্নীরা সাধারণত বিষণ বদমেজাজি হয়ে থাকে। এদের পা পিছনের দিকে ঘোরানো হয়।


শাঁকচুন্নি ঃ- শাঁকচুন্নি হল বিবাহিত মহিলাদের ভুত। এরা বাঙালি পরিধান পরে এবং হাতে শাঁখা ধারন করে। শাঁকচুন্নিরা সাধারণত বিবাহিত মহিলাদের ওপর ভর করে। যার ফলে তারা নিজেরা সেই মহিলার মতন বিবাহিত জীবনযাপন করতে পারে। এরা সাধারণত আম গাছে বসবাস করে।


ব্রহ্মদৈত্য ঃ- এই ধরনের ভুত সবচেয়ে জনপ্রিয়। ব্রহ্মদৈত্য সাধারণত কারোর ক্ষতি করে না। এই ধরনের ভুতেরা হল ব্রাহ্মণের ভুত। সাধারণত এরা ধুতি ও পৈতে পরেই ঘুরে বেরায়। এদেরকে পবিত্র ভুত হিসাবে গন্য করা হয়। তারা অত্যন্ত দয়ালু এবং মানুষকে অনেক উপকার করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.