ওষুধ খেয়েও ব্যথা কমছে না? কোন ফলে জব্দ হবে ইউরিক অ্যাসিড

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালিতে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা— এই ধরনের শারীরিক অসুস্থতা রোজকার জীবনে লেগেই থাকে। কর্মব্যস্ত জীবন এবং পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস যে সব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে তার মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।


খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে কিডনিতে গিয়ে পৌঁছায়। কিডনি এই টক্সিক পদার্থকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে নির্গত করে দেয়। কিন্তু যকৃত যদি নির্গত ইউরিক অ্যাসিডের চেয়ে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখন কিডনি সেই মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দেহের বাইরে পাঠাতে ব্যর্থ হয়। ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর মূল কারণ। ক্রমশ এই ইউরিক অ্যাসিড অস্থিসন্ধিতে জমা হতে থাকে। এর ফলে অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে ব্যথা হতে থাকে।


চিকিৎসকদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রাথমিক ভাবে ওষুধের উপর ভরসা রাখা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনার কথা বলে থাকেন তাঁরা। চিকিৎসকদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ইউরিক অ্যাসিডকে মূত্রের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বার করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে প্রতি দিন লেবু খাওয়া প্রয়োজন। লেবু ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতেও দারুণ কার্যকর।


কমলালেবু, মোসাম্বি, পাতিলেবু— সব ধরনের লেবুজাতীয় ফলই ইউরিক অ্যাসিডের মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। তবে পাতিলেবু বেশি উপকারী। সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে ইউরিক অ্যাসিড কমার পাশাপাশি কমবে ওজনও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.