অশনি সংকেত! অতিভারী বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা, সতর্কতা জারি এইসব রাজ্যে


ODD বাংলা ডেস্ক: অতি বৃষ্টির জেরে ভাসবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ভাসবে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে। ব্যাপক বৃষ্টির  জেরে ধস নামতে পারে পাহাড়ে। মূলত কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। 

শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। অতিবৃষ্টির সর্তকতা জারি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। মূলত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা।

আবহাওয়া দফরের অনুমান, অতি বৃষ্টির জেরে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সংকোস নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে ধসের আশঙ্কা রয়েছে।  পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখার কারণেই এই অতিবৃষ্টি উত্তরবঙ্গে। একদিকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অতি সক্রিয় উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। এই কারণেই অসম ও মেঘালয় আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। 

আজ ১৬ জুন বৃহস্পতিবার ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টির অর্থাৎ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা সর্তকতা কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। ৭০-২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দার্জিলিং জলপাইগুড়ি জেলায়। ৭০-১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা  কালিম্পং, উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। 

১৭ জুন শুক্রবার ৭০-২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ৭০-১১০ মিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং সঙ্গে মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।১৮ জুন শনিবার ৭০-২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ৭০-১১০ মিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা  জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

এ দিকে, সিকিম পাহাড় ও সমতলে লাগাতার বৃষ্টি র জেরে জলস্তর বাড়ায় তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দফতর। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকাতেও।এদিকে রাতেই তিস্তা নদী সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লী সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন জলপাইগুড়ি র পুলিশ সুপার দেবর্ষি দও ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।

গত বছর বর্ষায় তিস্তা নদীর জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় এই এলাকায়।পুলিশ সুপার জানান, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। নদী পারের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বৃষ্টিতে বাধের কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা খোঁজ নেন তাঁরা। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.