শাড়ি পরার সময় ৯৯% মহিলাই করেন এই ভুলগুলো! আপনিও দিনের পর দিন তাই করছেন না তো?

ODD বাংলা ডেস্ক: শাড়ি এতটাই সুন্দর একটি পোশাক যে, সাধারণ পরিবারের মেয়েরাও যেমন শাড়ি(Saree tips) ভালোবাসেন। একইভাবে তারকাদের মধ্যেও এর জনপ্রিয়তা কম নয়। পাওলি দামও একবার কানের রেড কার্পেটে জামদানি পরে হেঁটেছিলেন। এবার কানের রেড কার্পেটেও এই শাড়ির সম্ভার দেখা গিয়েছে। বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় মনে করেন, শাড়ি দেশের সীমারেখা পেরিয়ে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই শাড়ি সব মহিলারই প্রিয়।

এমনকী হাল ফ্যাশনে অ্যান্ড্রোজিনাস স্টাইলিংয়ে (Androgynous Styling) পুরুষেরাও নিজেদের এই শাড়িতে সাজিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এই শাড়ি পরার সময়েই যদি আপনি কয়েকটি ভুল করে ফেলেন, তাহলেই আপনার পুরো সাজটাই মাটি। আসলে শাড়ি পরার সময় ভুল করেন অনেক মহিলাই। তখন ভাবেন, কেন শাড়ি পরেও তাঁদের মনের মতো সাজ হচ্ছে না! জেনে নিন কী কী সেই ভুল?


শাড়ি পরার সময় ঠিক ব্লাউজ কীভাবে বেছে নেবেন

শাড়ি পরার সময়ে আপনার সঠিক ব্লাউজ বেছে নেওয়া উচিত। কীভাবে বুঝবেন সঠিক ব্লাউজ কোনটি? সে জন্য খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি দিকে। প্রথমেই ব্লাউজের ফিটিংস বুঝে নিন। খুব টাইট ব্লাউজ যেমন আপনি পরবেন না। আবার খুব ঢিলে ব্লাউজও পরবেন না।

শাড়ির সঙ্গে অত্যন্ত টাইট ব্লাউজ পরলে আপনার সাজটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। যদি ঢিলে ব্লাউজ পরেন, তাহলে আপনার ফিগার সঠিকভাবে কমপ্লিমেন্ট পায় না। ফলে লুকটাই নষ্ট হয়ে যায়।

সঠিক পেটিকোট বেছে নিচ্ছেন তো?

 শাড়ি পরার সময় যদি আপনি সঠিক পেটিকোটটাই বেছে না নেন, তাহলে আপনার লুক ঠিক হবে বলে আশা করেন? শুনুন, শাড়ি পরার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এটিই। সে জন্য সঠিক পেটিকোট বেছে নিন। ঘের দেওয়া পেটিকোট এড়িয়ে চলুন।

আপনার ফিগার সঠিক কমপ্লিমেন্ট পাবে না। তাই সব সময় বডিশেপার ব্যবহার করুন। বডিশেপারে আপনার কার্ভ ঠিকভাবে বোঝা যায়। এছাড়াও সিল্কের শাড়ির সঙ্গে সিল্কের পেটিকোট পরার চেষ্টা করুন। আর সুতির শাড়ির সঙ্গে সুতির পেটিকোট পরবেন।

কোমরের কোথায় শাড়ির কুঁচি থাকা উচিত?

দেখুন শাড়ি পরার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। আপনি কোমরের কোথায় শাড়ির কুঁচি করবেন, তা জানা উচিত আপনার। আপনি খুব নিচু করেও শাড়ি পরবেন না। আবার খুব উঁচু করেও শাড়ি পরবেন না। নাভির নীচে শাড়ি পরা উচিত নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে। বলিউড অভিনেত্রীদের দেখে চললে হবে না।

আবার নাভির থেকে উপরে একদম বুকের নীচেও পরা উচিত নয়। নাভির ঠিক উপরেই শাড়ির কুঁচি করার সঠিক স্থান। তাই ওখানেই শাড়ির কুঁচি গুঁজে নিন।

শাড়ির ঝুল ঠিক কতটা করা উচিত?

শাড়ি এমন করে পরুন, যেন তা আপনার গোড়ালি ঢেকে দেয়। এমন করে পরবেন না যেন, শাড়ি আপনার গোড়ালি থেকে উপরে উঠে যায়। আবার পায়ে আটকে পরে যান, এত নীচু করেও শাড়ি পরবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন, গোড়ালি পর্যন্ত শাড়ির ঝুল যেন থাকে।

আপনি যে জুতো পরে শাড়ি পরবেন, সেই জুতো পরে নিন। ও তার সঙ্গে শাড়ির ঝুলটি ম্যাচ করে নিন। তারপর জুতো খুলে শাড়ি পরুন। এতে বুঝতে সুবিধা হবে।

শাড়ির আঁচল করার সময় এদিকটি অবশ্যই দেখুন…

শাড়ির আঁচলের ঝুল ঠিক কতটা হওয়া উচিত? এত বড় আঁচল করবেন না যে তা আপনার পায়ে লুটায়। আবার শাড়ির আঁচলের ঝুল হাঁটুর উপরেও করে ফেলবেন না। এতে আপনার উচ্চতা কম লাগে। তাই আঁচল করার সময় এদিকটি অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

আঁচল অবশ্য়ই সেফিটিপিন দিয়ে ঠিক করে আটকে নিন। যেন তা আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সুন্দর করে আঁচল নিলেই আপনাকে দেখতে ভালো লাগে। আর হ্যাঁ, হাঁটু পর্যন্ত হবে আপনার শাড়ির আঁচলের ঝুল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.