ভ্রমণ প্রেমিদের জন্য খারাপ খবর, আপাতত বন্ধ উত্তরাখণ্ডের ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স



 ODD বাংলা ডেস্ক: চলতি বছর বর্ষার মরশুম রীতিমত দুঃসংবাদ নিয়ে এল পর্যটকদের জন্য। কারণ বছরের এই সময়টাই খোলা থাকে  উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দর্শনীয় আকর্ষণীয় স্থান ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন


প্রবল বর্ষণ আর ভূমিধসে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভারতের পর্যটন মানচিত্রে এই রাজ্যের স্থান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চলতি বছর বর্ষার মরশুম রীতিমত দুঃসংবাদ নিয়ে এল পর্যটকদের জন্য। কারণ বছরের এই সময়টাই খোলা থাকে  উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দর্শনীয় আকর্ষণীয় স্থান ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন। ফুলে সাজান এই উপত্যকায় অনেকটা পথই পায়ে হেঁটে যেতে হয়। কিন্তু ট্রেকিং-এর রাস্তায় বড়সড় ফালটের কারণে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রেরখবর। 


ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইট  ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স। দূর্দান্ত প্রাকৃতিক দৃশ্য আর ফুলের স্বর্গরাজ্যের কারণে এই এলাকা ঘিরে উৎসহ রয়েছে পর্যটকদের। কিন্ত ট্রেকিংয়ের রাস্তায় ফাটলের কারণে আপাতত সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও রাস্তা খুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। 


সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের একটি দল উপত্যকা পরিদর্শন করতে গেছে। কোনও পর্যটক আটকে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে তারা। সেই সঙ্গে উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কী করে বজায় রাখা যায় তাও পর্যবেক্ষণ করেন  ওই দলের সদ্যরা। বনবিভাগের কর্তা নন্দ বল্লভ শর্মা জানিয়েছেন, দ্বারীপুলের কিছু আগেই একটি ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় পুনরাবৃত্তিতে যাতে কোনও পর্যটক সমস্যায় না পড়ে তার জন্যই ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের রাস্তা পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন এই এলাকায় একটি হিমবাহ পয়েন্ট ও স্লাইডিং জোন রয়েছে। তাই রাস্তায় ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটাই বেশ। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


ইতিমধ্যেই ট্রেক রুট পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও ছোটখাট ভূমিধসের ঘটনা এখনও অব্যহত রয়েছে। বনরক্ষীরা জানিয়েছে  রাস্তায় কয়েকটি জায়গায় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে তা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তা থেকে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রেক রুটটি ১০ মিটার চওড়া ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বর্ষা আর মাটি ধসে যাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় রাস্তাই নেই। 


বনকর্মীরা জানিয়েছে প্রবল এই বৃষ্টি আর হড়পা বানের কারণে যে টুকু রাস্তা অবশিষ্ট রয়েছে তাও যে কোনও সময়ই ভেসে যেতে পারে। আর সেই কারণে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 


বনদফতর জানিয়েছে ভ্য়ালি অব ফ্লাওয়ার্সে যাওয়ার একটি বিকল্প রাস্তার খোঁজ চলছে। যেটি আগেরটির তুলনায় নিরাপদ হবে। তেমন রাস্তা খুঁজে পাওয়া গেলেই পর্যটকদের ট্রেকিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল ২০১৩ সালে দ্বারীপুল জোন ভয়ঙ্কর ভূমিধসের সাক্ষী থেকেছে। কেদারনাথের বিপর্যয়ের সময়ও এই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.