জলদস্যুদের এক চোখে কালো পট্টি বাঁধার রহস্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে জলদস্যুর গল্প শুনে বড় হয়েছেন অনেকেই। টিভিতেও দেখেছেন জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি অনেক সিনেমা। যা সহজেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে। এখনো যখন জলদস্যুদের নিয়ে কোনো গল্প বলা হয়, তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে ত্রিকোণ টুপি পরা, বড় বড় চুল, একটু অপরিচ্ছন্ন, এক চোখে কালো পট্টি বাঁধা একজন ভয়ংকর চেহারার ব্যক্তি।

গল্পের বই বা কোনো সিনেমায় জলদস্যুদের পোশাক এবং লুক অনেকটা এ রকমই দেখিয়ে থাকে। ষোড়শ বা সপ্তদশ শতকের জলদস্যুদের হয়তো এ রকমই চেহারা ছিল। তারপর থেকেই জলদস্যুদের নিয়ে কোনো গল্প বা সিনেমা হলেই সেই ত্রিকোণ টুপি, হাতে বন্দুক, বড় চুল এবং চোখে পট্টি বাঁধা একটা অবয়বকে তুলে ধরা হয় বার বারই।


অনেকে নিশ্চয়ই বিখ্যাত হলিউড সিনেমা ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ ছবিটি দেখেছেন। সেখানে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো (জনি ডেপ)-কেও ঠিক সেভাবেই দেখানো হয়েছিল। সুতরাং জলদস্যু বললেই এই ধরনের একটা ছবি আমাদের সামনে ভেসে ওঠে।


আদৌ কি জলদস্যুরা চোখে কালো পট্টি বাঁধত। না কি এটা শুধুই কল্পনা? ষোড়শ বা সপ্তদশ শতকে জলদস্যুদের ক্যাপ্টেন হয়তো ‘ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো’র মতোই চোখে পট্টি বাঁধত। যদি বাঁধতই তা হলে কেন বাঁধত তারও একটা যুক্তি আছে এবং এর সঙ্গে একটা বিজ্ঞানও জড়িয়ে আছে।


আমরা যখন খুব উজ্জ্বল আলো থেকে হঠাৎ অন্ধকারে প্রবেশ করি তখন চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অন্ধকারে থাকা কোনো জিনিস ঠাওর করা যায় না। চোখকে অন্ধকারের সঙ্গে সইয়ে নিতে কিছুক্ষণ সময় লাগে। কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোতে এলে তার ঠিক উল্টোটা হয়। দ্রুত আলোকে মানিয়ে নিতে পারে চোখ।


জাহাজের ডেকের দায়িত্ব যাদের হাতে থাকত, তারাই মূলত এক চোখে পট্টি বাঁধত। কারণ আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ডেকের ভেতরে যেতে হত। কিন্তু ডেকের ভেতরে অন্ধকার থাকায় কোনো জিনিস দেখতে যাতে অসুবিধা না হয়, চোখ যাতে সহজেই অন্ধকারকে মানিয়ে নিতে পারে, তাই একটা চোখে পট্টি বেঁধে রাখত তারা। আর ওই চোখই অন্ধকারের সঙ্গে চট করে খাপ খাইয়ে নিয়ে জলদস্যুকে ডেকের ভেতরের জিনিস দেখতে সাহায্য করত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.