এক মাস ধরে কেঁদে বিয়ে? দেশে দেশে বিয়ের যত অদ্ভুত রীতি
ODD বাংলা ডেস্ক: বিয়ে মানেই একরাশ আনন্দ, হুল্লোড় আর সেই সাথে দুটো মানুষের সারাজীবন একসাথে থাকবার মন্ত্র। তবে এই মন্ত্রের নানা ফাঁক ফোকরে সকলে মিলে জমিয়ে আনন্দ করাটা বিয়ের প্রধান আকর্ষণ। আর এই আনন্দেরই নানা দেশে নানা অদ্ভুত নয় বরং বলা ভালো উদ্ভট রীতি নীতি রয়েছে। চলুন জেনে নেই কি সেগুলো:
বরের পায়ে লাঠির বাড়ি
কি চোখ কপালে উঠে গেলো? এ দেশে বরের ঠ্যাং- এ বাড়ি পরলে আর মেয়েকে ও বাড়ি পাঠানো হবেনা। তবে এ অদ্ভুত রীতিটি কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে। সে দেশে বিয়ের পর বউ নিয়ে যাওয়ার সময় বরের পায়ে লাঠি দিয়ে মারা হয়। মজা করে বরকে পেটানোর এ কাজে অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করে থাকে সাধারণত পঁচা শুকনো মাছ!
কনের গায়ে থুথু
কেনিয়ার মাসাই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রীতি এটি। মেয়ে বিদায়ের আগে পিতা মেয়ের মাথায় এবং স্তনে থুথু ফেলেন। শুনতে খুবই অদ্ভুত এবং কিছুটা ঘিনঘিনে মনে হলেও মাসাই সম্প্রদায়ের কাছে এই রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করে থুথু সৌভাগ্যের প্রতীক।
এক মাস ধরে কাঁদা
বিয়েতে কনে বিদায়ে কান্নাকাটি ভীষণ সাধারণ একটি রীতি। কিন্তু ভাবুন তো, বিয়ের এক মাস আগে থেকে রোজ নিয়ম করে এক ঘণ্টা কাঁদছে কনে? ঠিক এমনটাই হয় চিনে। সে দেশে মেয়েরা বিয়ের এক মাস আগে থেকে কাঁদতে বসেন এবং বিয়ের ঠিক দশদিন আগে থেকে মা সহ পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্যগণও যুক্ত হন এই ক্রন্দনসভায়!
কালিঝুলি মাখানো
বিয়ের ঠিক আগের দিন। নানা ফুলে সুন্দর করে সেজে হলুদ মাখানোর রীতি ভীষণ পছন্দ? যদি হলুদের বদলে মাখানো হয় আলকাতরা, ছাই? স্কটল্যান্ডের কিছু বিশেষ অঞ্চলে বিয়ের আগের বর কনেকে মাখানো হয় এসবই কালিঝুলি, পাখির পালক, ছাই, ময়দা মেশানো আলকাতরা। শুধু তাইই নয় মজা করে এসব মেখে রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হয় বর কনেকে!
থালা বাটি ভাঙা
কখনো মায়ের কাঁচের বাটি ভেঙ্গে ফেলেছেন? এরপর আর কি কিছু বকুনি কখনো কখনো সাথে অল্প বিস্তর পিটানি খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে পরিষ্কার করতে বসেছেন ভাঙা কাঁচ? ঠিক এমন শাস্তিই দেয়া হয় জার্মানিতে বর কনেকে। স্বজনেরা মনের আনন্দ ভাঙেন চিনেমাটির বাসন। এরপরে বর কনেকে দায়িত্ব দেয়া হয় সেসব পরিষ্কার করতে। সংসার সামলাতে নব দম্পতি কতটা পারদর্শী হবেন সেটিরই পরীক্ষা এভাবে নিয়ে থাকেন গুরুজনেরা।
অতিথিরদের পাতের অবশিষ্ট খাবার খাওয়া
ফ্রান্সে বিয়ের পর বর কনের ওপর চলে এক অদ্ভুত অত্যাচার! বিয়ের অতিথিদের খাওয়া দাওয়া শেষে যেসব খাবার এবং পানীয় অবশিষ্ট থাকে সেসব একটি বাথরুমের মগের মতন পাত্রে মিশিয়ে বর কনেকে খেতে দেওয়া হয়। এমন অদ্ভুত রীতির উদ্দেশ্য নাকি স্ফূর্তি সঞ্চয়!
শৌচালয়ে যেতে মানা
ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়শিয়ার বর্নেয়ো সম্প্রদায়ে বিয়ের তিন দিন পর্যন্ত বর কনেকে ঘরে আটকে রাখা হয়। এমনকি যেতে দেওয়া হয়না বাথরুমেও! এ বিষয়ে তাদের কড়া নিয়ম। তাদের বিশ্বাস এই নিয়ম ভঙ্গ করা হলে ভেঙে যেতে পারে বিয়ে কিংবা ঘটতে পারে সন্তানের মৃত্যু।
Post a Comment