সৌন্দর্যে টক্কর দিতে পারেন বলি নায়িকাদেরও, ইনি ললিত মোদীর মেয়ে
ODD বাংলা ডেস্ক: ললিত মোদী এবং সুস্মিতা সেনের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ললিতের মেয়ে আলিয়াও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেছে। লন্ডনেই থাকেন আলিয়া। সৌন্দর্যে কোনও বলিউড অভিনেত্রীর থেকে কম যান না তিনি।
ললিত বরাবরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন। ফলে তাঁর প্রথম স্ত্রী মিনাল এবং তাঁর দুই ছেলেমেয়ে কখনওই চর্চার বিষয় হয়ে ওঠেননি। ললিতের প্রথম স্ত্রীর নাম মিনাল মোদী। বয়সে তাঁর থেকে ১০ বছরের বড়। ২০১৮-তে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ললিত-মিনালের দুই ছেলেমেয়ে। ছেলের নাম রুচির এবং মেয়ের নাম আলিয়া।
রুচির এবং আলিয়ার নাম খুব কমই শোনা গিয়েছে। সৌন্দর্যের বিচারে বলিউডের অনেক অভিনেত্রীকে টক্কর দিতে পারেন আলিয়া।
এ বছরের মে মাসে বিয়ে করেছেন আলিয়া। তাঁর স্বামী ব্রেট কার্লসেন। তিনি লন্ডনের বাসিন্দা।
আলিয়া এক জন অন্দরসজ্জা শিল্পী এবং একটি ডিজাইন কনসালটেন্সি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৯৩ সালের ৯ মার্চ জন্ম আলিয়ার। ব্রুকলিনের প্রাট ইনস্টিটিউট থেকে ফাইন আর্ট এবং ইন্টিরিয়র ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
আমেরিকার বস্টনের ব্র্যান্ডিস ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাশ করেন আলিয়া। তার পর লন্ডনের ইঞ্চব্লাড স্কুল অব ডিজাইন থেকে অন্দরসজ্জার স্থাপত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন।
নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে লন্ডনে ডিজাইন হস লিবার্টি নামে একটি সংস্থায় দু’বছর কাজ করেন আলিয়া।
ললিত এবং সুস্মিতার সম্পর্ক প্রকাশ্যে এসেছে দু’দিন আগেই। ললিত নিজে সেই সম্পর্কের কথা নেটমাধ্যমে ঘোষণা করেছেন। আর তার পর থেকেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ললিত ঘোষণা করেন ‘নতুন জীবন’ শুরুর কথা। তিনি লেখেন, ‘পরিবারের সঙ্গে মলদ্বীপ এবং সার্ডিনিয়ায় বেড়িয়ে লন্ডনে এলাম। আমার বেটার হাফ সুস্মিতা সেনের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। শেষ পর্যন্ত নতুন জীবনের শুরু। দুর্দান্ত উপভোগ করছি।’
ললিতের এই ঘোষণার ১৪ ঘণ্টা পরে দুই মেয়ে রেনে আর আলিশাকে সঙ্গে নিয়ে ছবি পোস্ট করে সুস্মিতা লেখেন, ‘আমি আনন্দে আছি। কোনও বিয়ে নয়, কোনও আংটি নয়, নিঃস্বার্থ ভালবাসায় আমি পরিবেষ্টিত। অনেক উত্তর দেওয়া হয়েছে। এ বার কাজে মন দেওয়া উচিত।’
তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে যখন বাড়াবাড়ি চলছে, বিরক্ত প্রকাশ করেছেন ললিত। সুস্মিতার সঙ্গে মলদ্বীপ সফর থেকে ফিরে ললিত লেখেন, ‘আমরা কি এখনও মধ্যযুগে বাস করছি? দু’জন মানুষ বন্ধু হতে পারে না? সময় ভাল কাটলে তাদের মধ্যে জাদু কাজ করতে পারে না? মিডিয়া আমাদের এই ভাবে ট্রোল করছে কেন? আমার উপদেশ হল, আপনারা নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যদের বাঁচতে দিন। সঠিক খবর লিখুন, গসিপ নয়।’
ললিত আরও লেখেন, ‘তথ্য যদি সঠিক ভাবে না জানেন, আমায় বলুন, আমি বলে দিচ্ছি। মিনাল মোদী আর আমি ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে সেরা বন্ধুত্বে ছিলাম। তিনি আমার মায়ের বন্ধু ছিলেন না। এই কথাটা কেন রটেছে জানি না! তবে এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। আসলে যখন কারও ভাল হয়, বাকিরা সহ্য করতে পারেন না।’
Post a Comment