পুরুষের নজর এড়াতেই মেয়েদের বুকে গরম ছ্যাঁকা দেন মা!
ODD বাংলা ডেস্ক: সকল পিতা-মাতাই চান তার সন্তানরা সুরক্ষিত থাকুক। বিশেষ করে মেয়েদের পুরুষদের যৌন লালসা থেকে বাঁচাতে তাদের চেষ্টার কোন কমতি থাকে না। কিন্তু এই যৌন লালসা থেকে মেয়েদের বাঁচাতে মায়েদের এ কী কাণ্ড!
সম্প্রতি দক্ষিণ লন্ডনে এমন ঘটনার প্রমাণ মিলেছে, যেখানে মেয়েদের ছাতি বা স্তনের উপর গরম ছ্যাঁকা দেন মায়েরা! একজন সমাজকর্মী জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২০ জন কিশোরীকে এভাবে ছ্যাঁকা দেয়া হয়েছে।
কোনোরকম চাপে পড়ে নয়, মায়েরাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কিশোরী মেয়েদের এ নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান। এর পোশাকি নাম চেস্ট আইরনিং। মায়েদের ধারণা, এর ফলে তার কন্যা-সন্তানরা পুরুষদের যৌন নির্যাতন থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবে। ধর্ষিত হতে হবে না তাদের।
কিন্তু মেয়েদের এক যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে গিয়ে যে আরো যন্ত্রণা এবং আরো বেশি ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, সেটা অবশ্য জানেন না তারা।
কীভাবে করা হয় এ চেস্ট আইরনিং?
মা, কাকিমা বা দিদা-ঠাকুমারা প্রথমে পাথরের টুকরো খুব গরম করে নেন (পাথরের বদলে অনেকটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এমন যেকোনো ধাতব জিনিস দিয়েও এটা করা হয়ে থাকে)। তারপর সেই পাথরের টুকরোটা কিশোরীর ছাতির উপর রাখা হয়। ছাতির উপর সেই পাথরের টুকরো দিয়ে ম্যাসাজ করা হয়। পাথরের টুকরো ঠাণ্ডা হয়ে এলে ফের সেটা গরম করে একই পদ্ধতিতে ছাতি ম্যাসাজ করা হয়।
এভাবে বারবার গরম ছ্যাঁকা দিলে স্তনের কোষগুলো ভেঙে যায়। কোষের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। একজন কিশোরী উপর সপ্তাহে একবার বা দু’বার বা প্রয়োজন বুঝে তিনবারও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
মূলত আফ্রিকার ক্যামেরুনে এ প্রথার প্রথম প্রচলন হয়। ক্যামেরুনের পুরুষশাসিত সমাজ মনে করত যে, মেয়েদের স্তনের বৃদ্ধি শুরু হওয়া মানেই তারা যৌন সম্পর্কস্থাপনের জন্য তৈরি। জোর করে বিয়েও দিয়ে দেয়া হত তাদের। তা রুখতেই এমন একটা উপায় মাথায় আসে মায়েদের। ক্যামেরুন থেকে ক্রমশ আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। আর এখন লন্ডনেও এর প্রমাণ মিলছে।
এ পদ্ধতি প্রবল যন্ত্রণাদায়ক। ফ্ল্যাট চেস্ট বানাতে গিয়ে এবং মেয়েদের যৌন নির্যাতন থেকে রুখতে গিয়ে আদতে সন্তানের ক্ষতিই করছেন মায়েরা, জানান মার্গারেট নামে এক সমাজকর্মী।
কী রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়?
এর ফলে স্তন্যপান করানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মেয়েরা, সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।
ব্রিটিশ সরকার সম্পূর্ণভাবে এ প্রথা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সমাজকর্মীদের দাবি, এখনো গোপনে প্রথার চল রয়েছে ব্রিটেনে।
Post a Comment