এলিজাবেথ বাথোরি: রূপচর্চায় কুমারী মেয়েদের রক্ত পান করতেন এই নারী

ODD বাংলা ডেস্ক: রূপচর্চা নারীর সৌন্দর্যের ভুষণ। যুগ যুগ ধরেই নারীরা রূপচর্চা করে আসছেন। রূপচর্চায় ব্রত ছিলেন ইতিহাসের মহিয়সী নারীরাও। নিজেকে পরিপাটি আর সুন্দর করে তুলতে বরাবরই পটু নারীরা। 

তবে ইতিহাস খুঁজলে সৌন্দর্যের যেমন আলোকসজ্জিত অধ্যায় পাওয়া যায়, তেমনই আছে এর কালো অধ্যায়ও। সৌন্দর্য বা রূপচর্চায় রাজকীয়তা ধরে রাখতে অনেক নারী হয়েছেন নৃশংস। তেমনই এক নারী ছিলেন এলিজাবেথ বাথোরি, যিনি সৌন্দর্য ধরে রাখতে হয়েছিলেন সিরিয়াল কিলার।

যৌবন ধরে রাখতে কে না চান। বিশেষ করে নারীরা নিজেদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে একটু যেন বেশিই সচেতন। ফিট থাকতে আর নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কতো কিছুই না করে থাকেন। তবে এই নারী নিজের রূপ-যৌবন ধরে রাখতে ৬০০ কুমারী নারীর রক্ত পান করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী সিরিয়াল কিলারের খেতাবপ্রাপ্ত নারী ছিলেন। নিজেকে সুন্দর রাখতে শুধু যে কুমারী মেয়েদের রক্ত পান করতেন তাই না, সেই রক্তে স্নান করতেন এমনকি তাদের মাংসও খেতেন তিনি। তিনি ছিলেন যেমন বদমেজাজি, তেমনি হিংস্র আর অত্যাচারী।

এলিজাবেথ বিশ্বাস করতেন, কুমারী মেয়েদের রক্ত তাকে চিরযৌবনা রাখবে। আর তাই একের পর এক কুমারীকে হত্যা করতেন তিনি। ইতিহাসে আলোচিত এই সিরিয়াল কিলার পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যার খুনি ছিলেন। যিনি ব্লাড কাউন্টেস বা কাউন্টেস ড্রাকুলা নামেও পরিচিত।

কাউন্টেস ড্রাকুলা নামে পরিচিত এলিজাবেথের জন্ম ১৫৬০ সালের ৭ আগস্ট হাঙ্গেরির ট্রানসিলভানিয়ায় এক অভিজাত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই এলিজাবেথ ছিলেন বদমেজাজি। যদিও সম্ভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। শিশু বয়সেই ভয়ানক সব অত্যাচারের দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত ছিলেন এলিজাবেথ। এই ঘটনা তার মনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তার হিংস্রতা আরো বাড়িয়ে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.