পুরুষরাও কাঁদুন! কান্নাও যে খুব জরুরি
ODD বাংলা ডেস্ক: সমাজে প্রচলিন ট্যাবু ‘পুরুষের কাঁদতে নেই’। কাঁদলেই যেন তার পুরুষত্ব থাকে না। পুরুষদের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা আছে- এরা নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা অথবা কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে চায় না।
যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বিশাল ফারাক তারা দেখতে পেয়েছেন। এক্ষেত্রে পুরুষ পিছিয়ে আছে। বিবিসি ‘ওয়েলকাম কালেকশন’ নামে একটি সংস্থার সাথে নিঃসঙ্গতা নিয়ে জরিপ চালিয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি নিঃসঙ্গতা অনুভব করে। খুব দীর্ঘ সময়ের নিঃসঙ্গতা একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সহজে নিরাময় হয়না শরীরে এমন রোগের জন্ম দেয় নিঃসঙ্গতা। তা মানুষের মধ্যে বেপরোয়া আচরণের জন্ম দেয়। একাকীত্বের সাথে স্মৃতিভ্রংশ জনিত রোগেরও সম্পর্ক রয়েছে।
২০১৭ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে বিশেষ করে পুরুষদের জন্য এই নিঃসঙ্গতা থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল। পুরুষরা নিজেদের একাকীত্ব স্বীকারও করেন না। 'একা বোধ করি না' এই কথাটিই বরং পুরুষরা মেয়েদের তুলনায় বেশি বলেন। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ-এর ২০১৮ সালের এক হিসেব অনুযায়ী দেশটির ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষদের ৫৫ শতাংশ মনে করেন কান্না পুরুষের আচরণের সাথে যায় না বা কান্না পুরুষালী বিষয় নয়।
কাঁদতে না পারা থেকে জন্ম নেয় আত্মহনন প্রবণতা। খুব ছোটবেলা থেকে ছেলেদের এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন তাদের আবেগ প্রকাশ করতে নেই। সমাজ সেভাবেই ছেলেদের বড় করে তোলে। পুরুষদের ধারনা দেয়া হয় যে আবেগ প্রকাশ করা দুর্বলতার লক্ষণ। রক্তে মাংসে গড়া মানুষ হিসেবে পুরুষের হাসি কান্না থাকবে। পুরুষের এই কাঁদতে না পারা যেন আত্মহননের পথ তৈরি না করে।
Post a Comment