ডাঙ্গায় হেঁটে বেড়াত চার পায়ের তিমি!
ODD বাংলা ডেস্ক: সমুদ্রের সবচেয়ে বড় প্রাণী হচ্ছে তিনি। আকারে বড় হলেও স্বভাবে শান্ত এই প্রাণীটি স্তন্যপায়ী। মানুষের সঙ্গে স্বভাবেও মিল আছে খানিকটা। তবে এবার মিশরে তিমির এক নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৪.৩ কোটি বছর আগে সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়ানো এই প্রাচীন প্রজাতির পা ছিল চারটি! এই উভচর তিমির জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে মিশরের পশ্চিম মরুভূমিতে।
প্রাচীন মিশরের মৃত্যুর দেবতা অ্যানুবিসের সঙ্গে
এই তিমির মাথার খুলির সাদৃশ্য থাকায় এর নামকরণও করা হয়েছে অ্যানুবিসের
নামে- ‘ফিওমিসেটাস অ্যানুবিস’। আধুনিক তিমির পূর্বপুরুষরা হরিণের মতো
স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে বিকশিত হয়েছিল, যা প্রায় ১ কোটি বছর ধরে মাটিতে
বসবাস করেছে।
প্রসিডিংস অব দ্য রয়েল সোসাইটি বি
প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, শিকার ধরার জন্য ছিল আনুমানিক ৬০০ কেজি
ওজনের ও তিন মিটার (১০ ফুট) দৈর্ঘ্যের ফিওমিসেটাস অ্যানুবিসের শক্ত চোয়াল।
এই তিমি ভূমিতে হাঁটতে ও পানিতে সাঁতার কাটতে পারত।
আংশিক
কঙ্কালটি মিসরের ফায়ুম খাদে পাওয়া গেছে। মনসৌরা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিজ্ঞানীরা সেটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। এলাকাটি এখন মরুভূমি হলেও একসময়
সেখানে সুবিশাল সমুদ্র ছিল এবং বর্তমানে এই অঞ্চল সামুদ্রিক জীবাশ্মের একটি
সমৃদ্ধ উৎস।
গবেষণার প্রধান লেখক আবদুল্লাহ
গোহার রয়টার্সকে বলেন, ‘ফিওমিসেটাস অ্যানুবিস তিমির একটি নতুন প্রজাতি,
এবং মিশরীয় ও আফ্রিকান প্যালিওন্টোলজির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ
আবিষ্কার।’
তবে পা আছে- এরকম তিমির জীবাশ্ম এই
প্রথম পাওয়া যায়নি। তবে ফিওমিসেটাস অ্যানুবিস আফ্রিকাতে আবিষ্কৃত আধা-জলজ
তিমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Post a Comment