কিভাবে এলো সপ্তাহে একদিন ছুটির রীতি! ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন আপনিও...

ODD বাংলা ডেস্ক: সপ্তাহের কর্মচঞ্চল দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন ছুটি থাকার রীতি হিসেবে বহুকাল থেকেই চলে আসছে। যারা চাকরিজীবী তারা সারা সপ্তাহ অক্লান্ত কাজ করে ওই একটি দিন ছুটি উপভোগ করার আশায়।

মনকি স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদেরও একই অবস্থা। ছুটির দিনটি নিয়ে নানা কল্পনা-জল্পনা আঁকেন কর্মব্যস্ত মানুষগুলো। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জন্যও যেন ছুটির দিনটিই উত্তম। প্রিয়জনের সঙ্গে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানোর জন্যও ছুটির দিনটি বেছে নেন অনেকেই। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন, কীভাবে এলো এই ছুটির দিনটি?

যদি অজানা থাকে, তবে আজকের লেখাটি আপনার জন্যই। চলুন জেনে নেয়া যাক যেভাবে এলো সপ্তাহে একদিন ছুটির রীতি-

ব্যাবিলনীয়রা সপ্তাহের ছয় দিনকে শুভ মনে করত। আর সাতদিনের একটি দিনকে অশুভ মনে করত। সেই দিন তারা বেচা-কেনা ছাড়া বাকি সব ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখত। তাছাড়া ইহুদীদের কাছে সপ্তাহের একটি দিন ছিল ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারা ওই দিন পার্থিব যেকোনো কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখত। এইদিনকে ‘সাব্বাত ডে’ বলা হয়।

এই দিনটি উপলক্ষ্যে নারীরা সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত বিশেষ কিছু রান্না-বান্না করত। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করত। এভাবেই ইহুদী এবং ব্যবিলনীয়দের অনুসরণ করে সপ্তাহের একটি দিন ছুটির রীতি প্রচলিত হয়।

তবে এখন এই একটি দিন ছুটি থাকার অনেক কারণ রয়েছে। সারা সপ্তাহ কাজ করে যদি বিরতি না পাওয়া যায়, তবে কাজের ফলাফল ভালো হয় না। তেমনিভাবে স্কুল-কলেজেও নিয়ম করে প্রতিদিন যাওয়াটা কষ্টকর। এতে পড়ালেখায়ও মনোযোগ কমতে থাকে। এমন অনেক গ্রহণযোগ্য কারণ রয়েছে সপ্তাকে একদিন ছুটি থাকার পেছনে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.