অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার রিও
‘অপহৃত’ পোষ্যকে তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার করল পুলিস! হারিয়ে যাওয়া ‘রিও’কে উদ্ধার করে তার প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেয় কলকাতার হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পুলিসের এই মানবিক ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ পশুপ্রেমীরা। আর হারিয়ে যাওয়া পোষ্যকে ফিরে পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে হরিদেবপুরের ঘোষ পরিবারের।
পুলিস
সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘রিও’ তখন বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই সময়ই
দুই যুবক তাকে দেখতে পেয়ে পোষার জন্য তাদের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেই
ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে সারমেয়টিকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার
প্রকৃত মালিকের হতে তুলে দেয় পুলিস। যাদের পোষ্য আছে, তারাই তার মর্ম
ভালোমতো বোঝেন। আদরের পোষ্যকে সন্তানের মতো যত্নে বড় করে তোলেন তারা। ‘সে ‘
চোখের আড়াল হলেই, প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে পশুপ্রেমীদের। দক্ষিণ শহরতলীর
হরিদেবপুরের বাসিন্দা ঘোষ পরিবারও ৮ বছরের আদরের ‘রিও’র আচমকা ‘অপহরণে’র পর
ভেঙে পড়েছিলেন তারা। ৮ বছরের ‘রিও’ গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির।
ঘটনার
সূত্রপাত ৫ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যেকদিনের মতো সেদিনও বাড়ির গ্যারেজের সামনে
খেলছিল ‘রিও’। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকেরা খেয়াল করেন যে, ‘রিও’
নেই। রিও সেখান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। এরপর বাড়ির আশপাশে তন্নতন্ন করে
খুঁজেও তার কোনও খোঁজ পাননি তারা। তখনই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে লাগানো
সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় যে, দুই
যুবক বাইকে করে আদরের ‘রিও’কে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওই ফুটেজ অস্পষ্ট হওয়ায়
বাইকের নম্বর প্লেট ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছিল না। এরপর ওই দিনই হরিদেবপুর
থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঘোষ পরিবার। ২ দিন পর, ঘটনাটি নজরে আসে হরিদেবপুর
থানার ওসি প্রশান্ত মজুমদারের। তার উদ্যোগেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে
হরিদেবপুর থানার পুলিস। তদন্তে নামার একদিনের মাথাতেই, সন্ধ্যায় রিওকে ওই
যুবকদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিস। তারপর কাল ফিরিয়ে দেন ঘোষ পরিবারের
কোলে।
জন্মের
পর থেকেই হরিদেবপুরের মধ্যবিত্ত ওই পরিবারে বেড়ে ওঠে ‘রিও’। সেই
পরিবারেরই একজন সদস্য হয়ে উঠেছে সে। তাকে নিয়ে পরিবারের লোকেদেরও
আনন্দে-আদরে সময় কাটে। কিন্তু রিও আচমকা হারিয়ে যেতেই মুষড়ে পড়েন তারা।
শুধু থানায় অভিযোগ দায়েরই নয়, রিওকে খুঁজে পেতে ৫ হাজার টাকা পুরষ্কার
ঘোষণা করে পোস্টারও বিলি করেন তারা। যদিও পুরস্কার দেওয়ার আর প্রয়োজন
পড়েনি। তার আগেই ‘রিও’কে উদ্ধার করে পুলিশ।
Post a Comment