হেলমেট মাথায় থাকলে মস্তিষ্কে কী পরিবর্তন আসে? জানলে অবাক হবেন!

ODD বাংলা ডেস্ক: মোটরবাইকে গন্তব্যে যেতে যারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাদের জন্য হেলমেট অতি প্রয়োজনীয় বস্তু বটে। সরকার তো এখন ড্রাইভার-আরোহী দু’জনেরই হেলমেট মাথায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যস্ত রাস্তায় হেলমেট পরে বাইকে করে ভ্রমণের সুবিধাগুলো আর ঘটা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন রাখে না। অসুবিধাও আছে বৈকি। 

তীব্র গরমে মাথায় হেলমেট থাকলে কী রকম ভুতূড়ে অস্বস্তি লাগে, তা আরোহীরাই ভালো জানেন। সে যাই হোক, ছোটবেলা থেকেই আমরা জেনে এসেছি, হেলমেট পরে বাইকে ভ্রমণ নিরাপদ। বিষয়টির একটু গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হেলমেট আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতেও প্রভাবিত করে। জার্মানির ফ্রেডরিক স্কিলার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে আসে এরকম বিস্ময়কর তথ্য।

দলটির প্রধান গবেষক ড.বারবারা স্মিথ বলেন, ঝুঁকির খেলায় হেলমেট মস্তিষ্ককে সিদ্ধান্ত নিতে পরিষ্কার প্রভাব বিস্তার করে। অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের যারা হেলমেট পরেন, তারা নিজেদের অধিকতর নিরাপদ ভেবেছেন। গবেষণায় ৪০ জনকে কম্পিউটারে তাস খেলতে দেয়া হয়। খেলার দু’টি লেভেল ছিল-ইজি এবং মোর ইজি। ২০ জন করে দু’টি উপদলে ভাগ করা হয় অংশগ্রহণকারীদের।  যাদের মধ্যে এক অংশের প্রত্যেক লোকের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেয়া হয়।

পর্যবেক্ষণের সময় তাদের মস্তিষ্কের নিউরাল অ্যাক্টিভিটি বা স্নায়ুবিক কার্যক্রম রেকর্ড করা হচ্ছিল। দেখা যায়, যারা হেলমেট পরেছিলেন, তাদের অধিকাংশই ইজি লেভেল বেছে নিয়ে বাকীদের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম সময় নিয়ে খেলা শেষ করেছেন। নিঃসন্দেহে তবে হেলমেট পরার ব্যাপারটি অংশগ্রহণকারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করেছে।

এ বিষয়ে ‘সাইকোফিজিওলোজি’ নামক সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে, হেলমেট পরা মস্তিষ্ককে ঝুঁকি সম্পর্কে উদাসীন করে দেয়। এমনটা হলে আপনার মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই নিরাপদ বোধ করবে। খেয়াল করলে দেখবেন, বড় বড় দালান নির্মাণের সময় কর্মীরা মাথায় হেলমেট পরে থাকলে অজানা এক নিরাপত্তা অনুভব করেন। আপনিও হয়তো হেলমেট পরে কোনো জাহাজ নির্মাণ কারখানায় অথবা কনস্ট্রাকশনের কাজে গিয়ে বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। মনোবিজ্ঞানীদের মতামত, মস্তিষ্কের নিরাপত্তা অনুভূতির জন্য হেলমেট পড়ার বিষয়টি সত্যি বিস্ময়কর!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.