বিপত্তারিনী পুজোয় নিয়ম মেনে এই মন্ত্রটি বলুন, কেটে যাবে সব বিপদ,পূরন হবে মনের ইচ্ছে
ODD বাংলা ডেস্ক: আষাঢ় মাসে সোজারথ থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার বা মঙ্গলবার পড়ে সেই দিন বিপত্তারিণী ব্রত করা হয়। মা দুর্গার আর এক রুপ বিপত্তারিণী। কথিত আছে, সুরাসুরগণ যখন সমুদ্র মন্থন করছিল তখন যে বিষ উঠে আসে, ভগবান শিব মা দুর্গার নাম করে সেই বিষ পান করেন। সেই বিষের বিপদ থেকে শিবকে মা দুর্গাই রক্ষা করেন।
বিপত্তারিণী ব্রত এক বিশেষ নিয়মে করে একটি মন্ত্র পাঠ করলেই মনের ইচ্ছা বাসনা পুরন হয়, সমস্ত বিপদ কেটে যায়। বিপত্তারিণী পুজো করে হিন্দু ঘরের মেয়েরা। মনে করা হয় বারো মাসে যত ব্রত আছে তার মধ্যে এই ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠ। খুবই কম খরচে স্বল্প উপাচারে শ্রেষ্ঠ ফললাভ করা যায় এই ব্রত পালন করলে। স্ত্রীলোকেরা মনে মনে যা চেয়ে এই ব্রত করে তাদের সেই মনস্কামনা সফল হয়। কি কি নিয়ম মেয়ে ব্রত করবেন এবং কি মন্ত্র বলবেন তা জেনে নিন।
যিনি বিপত্তারিণী ব্রত পালন করবেন তিনি তার আগের দিন নিরামিষ ও ফলমূল খেয়েই থাকবেন। পরের দিন পূজা দিয়ে ব্রত সেরে চরণামৃত পান করে উপোষ ভাঙবেন। পুজোর উপাচার হিসাবে ঘট, আমের পল্লব, নৈবিদ্য, তেরো প্রকার ফুল ও ফল, তেরোটি অখণ্ড কলা, তেরোটি একত্রে পাকানো লাল সুতো, তেরোটি পান, তেরোটি সুপারি চূর্ণ, ময়দা, ঘি ইত্যাদি সহকারে পুরহিত দিয়ে পুজো করাবেন বা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন।
পুজোর শেষে পুরহিতকে যথাসাধ্য দান ও দক্ষিনা দেবেন। মন দিয়ে ব্রতকথা শুনবেন। বলা হয় বিপত্তারিণী ব্রত স্রবণ করলে অনেক পাপ বিনষ্ট হয়। এর পর পুজোর সেই দূর্বা বাঁধা লাল তাগ্যা পরে নিতে হবে ও কাউকে দেবার হলে দিয়ে দেবেন।
সবশেষে এই মন্ত্রটি এগারো বার মায়ের সামনে বলতে হবে। মন্ত্রটি হল “মাসি পূণ্যতমে – বিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে। – ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ – বাসরে মঙ্গল শুভে।। – সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নে – জানকী জনকালয়ে। – আবির্ভূতা স্বয়ং দেবী – যোগেষু শোভনেষুচ।। – নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে – শিবে সর্ব্বাথ্যসাধিকে – শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী – নারায়ণী নমস্তুতে।।”
Post a Comment