শিশু হত্যাকারী দুই ভয়ংকর নার্স
ODD বাংলা ডেস্ক: ভাবতে পারেন, মৃত্যুর দৃশ্য কাউকে উত্তেজিত করতে পারে! আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না। কিন্তু এমন নজির আছে। আজ এমন দুই রহস্যজনক হত্যাকারীর কথা জানা যাক-
জেন টপান
তিনি ছিলেন প্রশিক্ষিত একজন নার্স যিনি রোগীদের অজান্তে তাদের ওপর বিভিন্ন বিপদজনক পরীক্ষানিরীক্ষা করতেন। ১৯০১ সালে জেন টপান স্বীকার করেন যে তিনি ৩১টি খুনের জন্য দায়ী। তিনি অবৈধভাবে রোগীদের মরফিন এবং অ্যাট্রোপিন দিয়ে তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতেন। একথা তিনি পরে স্বীকার করেন যে এভাবে রোগীদের মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যেতে দেখে তিনি এক ধরণের উত্তেজনা অনুভব করতেন। জেন টপান এই নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন হাসপাতাল থেকে ছাঁটাই হয়ে যাবার পরে।
বিষ প্রয়োগে প্রথমে নিজের বাড়িওয়ালাকে খুন করেন, এরপর নিজের পালক বোনকে। বোনের স্বামীকে প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে তাকেও বিষ প্রয়োগ করেন এবং তারপর তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। একজন বৃদ্ধ রোগীকে বিষ দেবার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি সব স্বীকার করেন। তাকে অপ্রকৃতিস্থ রায় দেওয়া হয় এবং মানসিক রোগের এক প্রতিষ্ঠানে তিনি বাকি জীবন কাটিয়ে দেন।
বিভারলি এলিট
ব্রিটেনের সবচেয়ে পরিচিত কিলারদের মধ্যে বিভারলি এলিট অন্যতম। নার্স হওয়ার সুবিধায় সে খুব সহজেই এসব শিশুকে হত্যা করত। তবে ঠিক কী কারণে বিভারলি শিশুদের হত্যা করত তার কারণ কখনো জানা যায়নি। ১৯৬৮ সালে এই নারীর জন্ম। বিভারলি চারটি শিশুকে হত্যা করে, পাঁচটি শিশুকে ভয়াবহভাবে আহত করে এবং ১৩টি শিশুকে ৫৮ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করে।
Post a Comment