অসুরক্ষিত শারীরিক মিলনে কি সব সময়েই গর্ভবতী হন নারীরা

ODD বাংলা ডেস্ক: অসুরক্ষিত যৌনমিলন বললে এ ক্ষেত্রে কন্ডোমের কথাটাই ধরতে হবে! এ বিষয়টি সবার আগে স্পষ্ট করে নেওয়াই ভাল! কেন না, এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল পুরুষ এবং নারীর শারীরিক সম্পর্কের যে অমোঘ পরিণতি, সেই বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করে এ প্রসঙ্গে পল্লবী জানিয়েছেন এক ব্যক্তির কথা। তিনি চিঠি মারফত একটি বিশেষ কৌতূহল নিবারণ করতে চেয়েছেন। শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও এটা সত্যি- ওই ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন যে কন্ডোম ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করলে তা কি শেষ পর্যন্ত বিষয়টিকে সন্তান উৎপাদনের দিকেই নিয়ে যায়? কেন না, তিনি নিজে যেমন কন্ডোমের ব্যবহার পছন্দ করেন না, তেমনই তাঁর সঙ্গিনীরও অনীহা রয়েছে এতে। কিন্তু খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা বিষয়টিকে সীমিত রাখতে চান পারস্পরিক সুখের মধ্যেই, সন্তান উৎপাদনের বাসনা আপাতত তাঁদের নেই!

পল্লবী তাঁর পরামর্শের শুরুতেই নারীর গর্ভধারণ করা নিয়ে প্রচলিত একটি বিশ্বাসে আঘাত হেনেছেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা তখনই তৈরি হয়, যখন নারীর শরীর ডিম্বাণু উৎপাদন শুরু করে দেয়। কিন্তু মেনস্ট্রুয়াল সার্কল চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক করলে নারী যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়বেন না, সে কথা তিনি একবারের জন্যও বলছেন না। বরং তাঁর সাফ বক্তব্য- সব সময়েই কন্ডোম ছাড়া শারীরিক সম্পর্কে নারীর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এ ক্ষেত্রে তাই পল্লবী সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু উপায় অবলম্বনের কথা বলেছেন। অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্কে কারও যদি কন্ডোম পছন্দ না হয়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী হতে পারে, তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

১. কিছু নিরোধক আছে যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়। এর মেয়াদ তিন-চার মাস পর্যন্ত থাকে। ২. স্পার্মিসাইডস, স্পঞ্জ, সার্ভিক্যাল ক্যাপ- এ সবও ব্যবহার করা যেতে পারে। ৩. হরমোনকে প্রভাবিত করে, এমন গর্ভনিরোধকের ব্যবহার করা যায়। যেন হরমোনাল আইইউডি। তবে যে পন্থাই অবলম্বন করা হোক না কেন, এ বিষয়ে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়াটাই নিরাপদ হবে বলে জানিয়েছেন পল্লবী!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.