কাতুকুতু দিলে কেন হাসি পায় জানেন?
ODD বাংলা ডেস্ক: দুষ্টুমি করার সময় সামনের মানুষকে বিরক্ত করার অনন্য এক উপায় হলো সুড়সুড়ি দেয়া। বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু আসলেই এতে বিরক্ত হয়, তাহলে সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দিলে মানুষ উন্মাদের মতোন হাসে কেন? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
কাতুকুতু লাগলে মানুষের শরীরে যে প্রতিক্রিয়া হয়, দীর্ঘদিন ধরেই তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। কাতুকুতু দিলে কেন মানুষ হেসে ওঠে, এখনও পর্যন্ত সেই কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ব্যাখ্যা পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তারা একমত, স্নায়ু উদ্দীপিত হওয়া এবং মস্তিষ্ক সচল হওয়ার ফলেই কাতুকুতুর কারণে হাসি পায়।
আবার অন্য কেউ সুরসুরি দিলে যতটা কাতুকুতু লাগে, নিজে হাজার চেষ্টা করলেও সেরকম মনে হয় না। কখনো কি ভেবে দেখেছেন শরীরের এই নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতেই এমন অনুভূতি হওয়ার কারণ কি।
ত্বকের একেবারে বাইরের বা উপরের স্তরকে বলা হয় এপিডারমিস। বিভিন্ন স্নায়ুর শেষ অংশগুলো ত্বকের এই স্তরের নিচে একত্রিত অবস্থায় থাকে। সেখানে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়ে মস্তিষ্কের দুটি অংশকে এই স্মায়ুগুলো সচল করে তোলে।
প্রথমত, ত্বককে স্পর্শ করলে মস্তিষ্ক তা প্রথমে বিশ্লষণ করে। এরপর শারীরিক তৃপ্তির অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে যে অংশ, মস্তিষ্কের সেই অংশও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাধারণত, শরীরের যে অংশগুলোতে হাড় থাকে না, সেই অংশগুলোতে কাতুকুতুর অনুভূতি বেশি হয়। যেমন পেটের পাশে বা নিচে, পায়ের পাতার নিচে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এর পেছনে কাজ করে মানুষের আত্মরক্ষার তাগিদ। কারণ, কাউকে কাতুকুতু দিলেই সে হয় শরীর ভাঁজ করে দেয়, নয়তো নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নেয় যাতে শরীরের কাতুকুতু দেয়া অংশটুকু সংকুচিত হয়ে যায় এবং কাতুকুতু দেয়ার জায়গা না পাওয়া যায়।
নিজেকে নিজে কাতুকুতু না দিতে পারার পেছনেও যুক্তি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, কেউ নিজেই নিজেকে চমকে দিতে পারে না। চমকে যাওয়া এবং অন্য কারও শরীরের অংশ বা বস্তুর স্পর্শ কাতুকুতুর অনুভূতির প্রাথমিক শর্ত।
কেউ যদি নিজের শরীরের সংবেদনশীল অংশে কাতুকুতু দেয়ার কথা ভাবে, তাহলে তার মস্তিষ্ক আগে থেকেই সজাগ হয়ে গিয়ে শরীরের সংশ্লিষ্ট অংশ, কাতুকুতু দেয়ার গতি এবং সময়সীমাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। এছাড়া নিজেই নিজেকে কাতুকুতু দিলে মস্তিষ্কও সেভাবে কোনো বিপদের আঁচ করে না। ফলে আত্মরক্ষার তাগিদও আসে না।
Post a Comment