পার্লরে ছোটার প্রয়োজন নেই, উইকেন্ডে বাড়িতেই করুন ফেস ক্লিনআপ! শিখুন সহজ উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ত্বক ভালো রাখার জন্য মাসে অন্তত একবার ডিপ ফেস ক্লিন আপ (Face Cleanup) করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ২০ পেরোলেই ত্বকের সামান্য যত্ন নিতেই হয়। অন্তত প্রতিদিন ফেস ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং করার প্রয়োজন। মাসে অন্তত একবার ফেস ক্লিন আপ করা প্রয়োজন।


কিন্তু তার জন্য সবসময় পার্লরে ছোটার প্রয়োজন নেই। বরং বাড়ি বসেও আপনি ফেস ক্লিন আপ করে নিতে পারেন। এই উইকেন্ডকেই কাজে লাগান। তার আগে শিখে নিন বাড়িতে কীভাবে ধাপে ধাপে ফেস ক্লিন আপ করবেন।


ফেস ক্লিনজিং


ফেস ক্লিন আপ শুরুর প্রথম ধাপই হয় মুখ পরিষ্কার করা দিয়েই। ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন। বা আপনার ফেস ক্লিনজার ব্যবহার করুন। মুখে ভালো করে ফেস ওয়াশ লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ভালো করে মুখ মাসাজ করে নিন। তারপর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন।


স্বাভাবিক জলেই মুখ ধোবেন। বা ভিজে তোয়ালে, রুমালের সাহায্য মুখ মুছে নিন। ভালো করে মুখ মুছে নিন, যেন ক্লিনজারের কোনও অংশ মুখে না লেগে থাকে।


এক্সফোলিয়েটিং বা স্ক্রাব


মুখ এক্সফোলিয়েট করা বা স্ক্রাব করা খুবই প্রয়োজন। এক্সফোলিয়েশন আমাদের মুখের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে, ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। স্ক্রাব নিন। পরিমাণ মতো আঙুলের ডগায় নিয়ে মুখের প্রতিটি অংশে ভাল করে লাগিয়ে নিন।


তারপর হাতের সাহায্যে সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে সার্কুলার মোশনে গালের উপর ও নাকের দুপাশে এতে আপনার ত্বকে এক্সফোলিয়েশন হবে। এক্সফোলিয়েট করার ফলে ত্বকের মৃত কোষ উঠে আসে। ত্বক প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে পায়। ত্বকে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেনও পৌঁছায়।


স্টিম নিন


এক্সফোলিয়েশন করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আপনার প্রয়োজন স্টিম নেওয়া। আপনার বাড়িতে যদি ফেস স্টিমার থাকে তাহলে তার সাহায্যেই মুখে স্টিম নিন। আর নাহলে একটি বাটিতে গরম জল নিন। সেই গরম জলেই স্টিম নিন।


কয়েক মিনিট পর্যন্ত ত্বকে স্টিম নিতে পারেন। এতে আপনার মুখে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকের জেল্লা হয় চোখে পড়ার মতো।


এরপর মুখ মুছে নিয়ে অ্যালোভেরা জেলের সাহায্যে মুখ কিছুক্ষণ মাসাজ করে নিতে পারেন।


ফেস প্যাক


এবার শেষ ধাপ। আপনার মুখের প্রয়োজন ফেস মাস্ক। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন ফেস মাস্ক। সেটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। তাই বলে এক ঘণ্টা ফেস মাস্ক রেখে দেবেন না। প্রত্যেক ফেস মাস্ক বা প্যাকের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে।


তা হয়তো ৮ থেকে ১৫ মিনিট হতে পারে। সেই সময়টুকু রেখে ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন। বাড়িতে তৈরি ফেসপ্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ভালো করে মুখ ধোবেন। যেন ফেসপ্যাকের বাড়তি অংশ আপনার মুখে লেগে না থাকে।


টোনার ও ময়শ্চারাইজিং


এরপর মুখে টোনার লাগিয়ে নিন। টোনার আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। মুখের ত্বক টানটান রাখতে সহায্য করে। শেষে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার তৈলাক্ত ত্বক হলেও ময়শ্চারাইজার লাগাবেন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ময়শ্চারাইজার বেছে নিন। মুখ ফিরে পাবে প্রাকৃতিক জেল্লা।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.