বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কিছু টিপস
ODD বাংলা ডেস্ক: মাস শেষ বিদ্যুৎ বিল কম আসলে আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। আবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সে পদক্ষেপকে কার্যকর করতে একজন সহযোগি হয়ে উঠতে পারেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক-
সোলার লাইট ব্যবহার
যাদের বাসায় সোলার আছে, তারা (সৌরবাতি) ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া এই সময়ের জন্য দারুণ পদক্ষেপ হতে পারে।
এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার
এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করলে তা ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। এগুলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় ছয়গুণ বেশি চলে। বাড়ি বা অফিসের পুরানো বাল্ব বদলে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করুন। পুরনো বাল্ব হলে তা বিদ্যুৎ বেশি খরচ করে।
কম্পিউটার ব্যবহারে কৌশলি হোন
জানেন কী, কম্পিউটার সারাদিন চালু থাকলে তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়ে যায়। তাই অপ্রয়োজনে কম্পিউটার চালু রাখবেন না। ব্যবহারের পরই বন্ধ করে রাখুন। সব সময় কম্পিউটার চালু রাখবেন না। এর সামনে থাকবেন না কিন্তু খোলা রাখা দরকার তখন স্লিপিং মুডে রাখুন। এতে চল্লিশ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
আয়রন ব্যবহার
কাপড় সোজা করার জন্য আমরা আয়রন ব্যবহার করে থাকি। প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে আয়রন মেশিন। এই মেশিন বিদ্যুৎ টানে অনেকটাই। তাই কাপড় আয়রন করার ঠিক আগে আয়রন গরম করে নিন। অধিক সময় হিট দিয়ে রাখবেন না।
একটানা এসি ব্যবহার করবেন না
এসি দীর্ঘ সময় চালু না রেখে রুম ঠান্ডা করে এসি বন্ধ করে দিন। বিদ্যুৎ খরচ কমবে, বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে।
ফ্রিজের তাপমাত্র কমিয়ে রাখুন
ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখুন।
ত্রুটিমুক্ত সংযোগ
অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ যদি কোনো কারণে ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে এক্সপার্ট কারও সাহায্য নিন। কিছু যন্ত্র আছে যেগুলো সুইচ বা রিমোট টিপে বন্ধ করার পরও বৈদ্যুতিক পাওয়ার চালু থাকে। যেমন টেলিভিশন, কম্পিউটার এগুলো ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আনপ্লাগ করে রাখবেন।
দিনের আলোর ব্যবহার বাড়ান
পশ্চিম দিকে রান্নাঘর, আর দক্ষিণ দিকে শোবার ঘর রাখলে ভালো হয়। এতে ঘরে আলো-বাতাস বেশি ঢোকে, ফলে বাতি ও পাখার সীমিত ব্যবহার করা সম্ভব হয়। বাসার প্রতিটি জানালায় রঙিন কাচের ব্যবহার না করে স্বচ্ছ কাচ লাগালে ঘর প্রাকৃতিকভাবে বেশি আলো পাওয়া সম্ভব। দিনের আলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে। যত ভোরে সম্ভব ঘুম থেকে ওঠা ও রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
Post a Comment