বিশ্বের বিখ্যাত এই ব্যক্তিরা দত্তক নেওয়া সন্তান ছিলেন

ODD বাংলা ডেস্ক: পরিবারের ভাঙন, মা-বাবাকে হারানোসহ নানা কারণে শিশুরা অনাথ হয়ে পড়ে। তাদেরকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে কিছু মানুষ এগিয়ে আসেন। দত্তক গ্রহণ করা মানুষগুলোর সাহায্যে অনেক অনাথ হয়ে উঠেছেন জগৎ বিখ্যাত। তেমন কয়েকজনের গল্প থাকছে এই আয়োজনে-

নেলসন ম্যান্ডেলা: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। গোত্রের নামানুসারে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের কাছে ‘মাদিবা’ নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ম্যান্ডেলার বয়স যখন ৯ বছর, তখন তার বাবা মারা যান। সে সময়ে জোগিন্টাবা ডালিন্ডেবো তাকে দত্তক গ্রহণ করেন। ১৮ জুলাই ম্যান্ডেলার জন্মদিন, এই দিনটিকে ম্যান্ডেলা দিবস বলা হয়ে থাকে। তার স্মৃতি রক্ষার্থে এটা করা হয়েছে। এই নেতার কতটা জনপ্রিয়, তা অনুমান করা যায় এর মাধ্যমেই। তিনি ১৯৯৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।

স্টিভ জবস: পৃথিবীর সর্বকালের সেরা উদ্যোক্তাদের তালিকায় স্টিভ জবসের নামটি একদম প্রথম দিকে থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের একজন স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে তার অবদান বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে সবসময়। জোয়ান স্কিবল এবং আব্দুল ফাতাহ জান্দালির ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন অ্যাপল-এর এই সহ প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু স্কিবলের মা-বাবা একজন আরবের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নেননি। তাই স্টিভের মা তাকে পল ও লারা জবস দম্পতির কাছে দত্তক দেন। স্টিভ জবস তার জীবদ্দশায় পল ও লারা জবসকেই তার পিতামাতা বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পল একজন মেকানিক ও কারপেন্টার ছিলেন।

মেরেলিন মনরো: সর্বকালের সেরা আবেদনময়ী হলিউড অভিনেত্রী মেরেলিন মনরো ছিলেন দত্তক নেয়া সন্তান। তার জন্মদাতা পিতা তাকে অস্বীকার করেছিলেন, পরে ফস্টার পরিবারে লালিতপালিত হয়েছিলেন তিনি। মেরিলিন এখনো আমেরিকার অভিনেত্রী ও ফ্যাশন মডেলদের আইকন। স্বল্প আয়ু নিয়েই সারা বিশ্বের নামকরা ব্যক্তিদের ঘুম হারাম করেছেন মনরো।

ডেভ থমাস: কেএফসি এবং অয়েন্ডিস হ্যামবার্গার এর নাম আমরা সবাই শুনেছি। ডেভ থমাস ক্যান্টাকি ফ্রায়েড চিকেন এর প্রধান রাঁধুনি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অয়েন্ডিস নামের চেইন রেস্টুরেন্ট চালু করেন। একজন অবিবাহিত মহিলার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার ৬ বছর বয়সে রেক্স ও অলিভা থমাস তাকে দত্তক গ্রহণ করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.