ঘরোয়া উপায়ে স্বরভঙ্গ রোগ কিভাবে দূর করবেন



 ODD বাংলা ডেস্ক: ১. লবণ ও জল:

এক কাপ গরম জলের মধ্যে এক চতুর্থাংশ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। সাথে এক টেবিল চামচ লিস্টেরিন মিশিয়ে নিন। এতে মুখের জীবাণু মুক্ত হবে। মুখের জ্বালাপোড়াও কমে যাবে।
২. লেবু ও জল:

এক কাপ গরম জলের সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি শরবতের ন্যায় পান করুন। জল অবশ্যই গরম হতে হবে। এতে গলার টিস্যু স্ফীত হবে। এর এ্যাসিডিক উপাদানের কারনে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
৩. আদা, লেবু ও মধু:

আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে এক চামচ আদার গুঁড়া, এক চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস ও আধা কাপ গরম জল নিন। এবার, প্রথমে আদা গুঁড়ার সাথে জল মিশিয়ে নিন। এরপর মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার গড়গড়া করুন। মধু গলার স্বর ঠিক করে। বাকি উপাদানগুলো গলার জীবাণুমুক্ত করে।
৪. ঝাল সস ও জল:

গোল মরিচের গুঁড়া ব্যাথা ও প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করে। পাঁচটি গোল মরিচের গুঁড়ার সাথে এক কাপ গরম জল মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এর ফলে গলা জ্বালাতন করবে। কিন্তু, অবশ্যই স্বরভঙ্গ ঠিক হয়ে যাবে। ১৫ মিনিট পর পর এই মিশ্রণটি ব্যাবহার করুন।
৫. তুলসী পাতা ও জল:

তুলসী পাতা স্বরভঙ্গ দূর করতে, ব্যাথা মুক্ত করতে ও নাকের স্ফীত দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তুলসী পাতার রস, চিনি, ফিটকিরি, ভিনেগার ও জল একত্রে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয়। এই দ্রবণটি স্বরভঙ্গ রোধ করে।
৬. হলুদ ও জল:

বৈজ্ঞানিক মতে, হলুদ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ দূর করে। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে। এক কাপ গরম জলে আধা চামচ লবণ ও আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এতে স্বরভঙ্গ দূর হবে।
৭. লবঙ্গ চা:

এক থেকে তিন চামচ লবঙ্গের গুঁড়া গরম জলের সাথে মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এতে যে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে তা গলা ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। গলার প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে।
৮. লবঙ্গ ও মধু:

মধুর সাথে লবঙ্গ মিশালে একটি খুব শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান “ইউজেনল” গঠিত হয়। ইউজেনল ও মধুর মত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। লবঙ্গ অন্যান্য উৎসের তুলনায় ইউজেনল এ প্রায় ২০ গুণ বেশি সমৃদ্ধ।
৯. মধু সাইট্রাস সিরাপ:

স্বরভঙ্গ ও বিভিন্ন ফ্লু দূর করতে মধু সাইট্রাস সিরাপটি তৈরি করে ব্যাবহার করা যায়। মধু, মশলা, সাইট্রাস ফলের মিশ্রণে একটি সিরাপ তৈরি করে খেলে গলা ব্যথা কমে যায়। মশলা ও সাইট্রাস ফল গলার প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে আর মধু ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.