ঈশ্বরের হ্রদ: এই লেকে গিয়ে প্রার্থনা করলেই মনোবাসনা পূরণ!

ODD বাংলা ডেস্ক: অপার সৌন্দর্যের আঁধার এই বিশ্ব ব্রাহ্মণ্ড। প্রকৃতি সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে বিস্ময় আর রহস্য। হয়ত এই রহস্যই সৌন্দর্য পিপাসুদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তেমনই একটি স্থান জাপানের রহস্যময় মাশু-কো বা লেক মাশু। 

ঈশ্বরের হ্রদ হিসেবেও এর বেশ পরিচিতি আছে। রহস্যময় মাশু-কো বা লেক মাশুর সৃষ্টি প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের মাধ্যমে। অনেকে মনে করেন পৃথিবীর অন্যতম স্বচ্ছ লেক এটি। যার অবস্থান জাপানের উত্তর অঞ্চলের হাক্কাইডো দ্বীপের আকান-মাশু ন্যাশনাল পার্কে। জাপানের স্থানীয় আইনু জনগণ লেকটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। 

লেকটির চারপাশে ঘন কুয়াশা। এর প্রায় ২০০ মিটার সীমানা ঘেঁষে রয়েছে আগ্নেয়গিরি। জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় দর্শণার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করে সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে লেকটি। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সবার নিরাপত্তার বিষয়টিও। প্রাচীন রহস্যময় এই লেকের জল কাচের ন্যায় স্বচ্ছ।

এজন্যই স্থানীয় আইনু ভাষায় লেক মাশুকে কামুইতো বলে অভিহিত করা হয়। যার অর্থ ‘ঈশ্বরের হ্রদ’। স্থানীয় জনগণ তাদের খারাপ বা বিপদের সময় লেকটির কাছে গিয়ে প্রার্থনা করে। আইনু সম্প্রদায়ের জনগণের বিশ্বাস, লেক মাশুতে একটি নারী আত্মা বাস করে।

যদি কোনো দর্শনার্থী লেকের জল কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখে তবে তার জন্য একটি মন্দ ভাগ্য অপেক্ষা করে। সে যদি পুরুষ হয় তা হলে একটি সময় পর্যন্ত পেশাগত জীবনে উন্নতি করতে পারবে না আর নারী হলে বাকি জীবন তার সন্তান হবে না।  

লেক মাশু বছরের প্রায় সাড়ে তিন মাস কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। এর গভীরতা ২১২ মিটার, যা জাপানের অন্যতম গভীর লেক। মাশু লেকে প্রবেশের বা বের হওয়ার তেমন কোনো পথ নেই এবং প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বিধি-নিষেধ থাকায় মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে। ফলে শত শত বছর ধরে লেকের আদিম প্রাকৃতিক রূপ বিদ্যমান রয়েছে। 

লেকটির জল এতটাই স্বচ্ছ যে ২০ থেকে ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত দেখা যায়। সরাসরি দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ থাকলেও লেকের কাছাকাছি রয়েছে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার। দর্শনার্থীরা সেখান থেকেই স্বচ্ছ লেকটি দেখতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.