জীবনের এই ভয়গুলি কাটিয়ে ফেলতে পারলেই আপনার সাফল্য অবধারিত
ODD বাংলা ডেস্ক: ভয় শব্দের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভৌতিক যোগ খোঁজার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু মানুষ কি শুধুমাত্র ভূতেই ভয় পায়? জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই তো এই আবেগ কাজ করে। সামনে বাড়ানো হাতটাকে ক্রমাগত পিছনের দিতে টানতে থাকে। সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কাঙ্খিত সাফল্য পেতে কোন কোন ভয় জয় করতে হবে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।
১) ভূত মানে অতীতও। ফেলে আসা জীবনের ভুলগুলিকে বড্ড ভয় পায় মানুষ। এই কারণেই নতুন পথে পা বাড়ানোর আগে ভয় পায়। জীবন তো ঠিক-ভুল মিলিয়েই তৈরি হয়। আবার না হয় একবার করবেন। নতুন কিছু শিখবেন। আর এভাবেই সমৃদ্ধ হবেন।
২) জনসমাগমে বা খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পান অনেকে। চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গ্রুপ ডিসকাসনের সময় অনেকে পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু আপনার কণ্ঠ যত বলিষ্ঠ হবে, ততটাই সাফল্যের পথ মসৃণ হবে।
৩) ভালবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে ভয় সবচেয়ে বেশি কাজ করে। কী হবে যদি উলটোদিকের জন না বলে? না বললে বলবে! আপনি তো নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। উত্তর না হলে গতিপথ পালটে নেবেন। আর হ্যাঁ, হলে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেবেন।
৪) নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কারও সাহায্য করতে পারা একটা বড় গুণ। নিজেকে হারানোর ভয় কাটিয়ে যাঁরা এই কাজ করতে পারেন, তাঁরাই যেকোনও মুহূর্তে নিজের জীবন পালটে ফেলতে পারেন।
৫) চেনা পরিধির বাইরে বের হতে ভয় পান অনেকে। নিজের কামফোর্ট জোনেই থাকতে ভালবাসেন। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারলেই তো নতুন কিছু শেখা যাবে! ঝুঁকি না নিলে সাফল্যও সীমিত হয়ে যাবে।
৬) সমালোচনাকে ভয় পান অনেকে। তাই অন্যের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করেন। এমনটা বেশিদিন সম্ভব নয়। নিজস্বতাকে খুঁজে বের করুন। আপনি আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু। সমালোচনাকে খোলা মনে গ্রহণ করে তা থেকে শেখার চেষ্টা করুন। শেখার কোনও বিকল্প নেই। যত শিখবেন, তত জানবেন। যত জানবেন সাফল্যের পথে ততটাই এগিয়ে যাবেন।
Post a Comment