বিপত্তারিণী পুজোয় হাতে লাল সুতো বাধা হয় কেন


ODD বাংলা ডেস্ক: বিপত্তারিণী পূজা উপলক্ষে মহিলারা উপবাস করেন। প্রথা অনুসারে হাতে “তাগা”  (এক গুচ্ছ পবিত্র লাল সুতো ও দুর্বা) বাঁধা রয়েছে। এর আসল রহস্য কী?

সাধারণত হিন্দু ধর্মের লোকেরা হাতে লাল সুতো বেঁধে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন করলে একটিই উত্তর পাওয়া যাবে। এটি আমাদের একটি ধর্মীয় সংস্কার মাত্র। কিন্তু যথার্থ উত্তরটি কী?
  • এই অলৌকিক সুতো সমস্ত অমঙ্গল, বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ রাখবে, এটাই বিশ্বাস।
  • বিপত্তারিণী পূজা ছাড়াও পূরাণে লাল সূতো ব্যবহার করার কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়।
জানা যায়, ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে স্বর্গ, মর্ত ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্ম গ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণু বলিকে অমরত্ব দান করলে, আর্শীবাদ স্বরূপ তিনি তাঁর হাতে বেঁধে দেন লাল সুতো। সেই থেকেই হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে।

এ ছাড়া আরও একটা মত প্রচলিত আছে। এক সময় দেবতা ও অসুরের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্র খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চিন্তিত দেখে স্ত্রী ইন্দ্রাণী তাঁর জন্য প্রার্থনা শুরু করলেন। ইন্দ্রাণী তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত করে লাল সুতো দিয়ে একটি সুতো তৈরী করেন।

তারপর দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তাঁর গলায় বেঁধে দেন। যাতে অসুরেরা তাঁকে আঘাত করতে না পারে। এরপর দেবতা ও অসুরের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে সেই যুদ্ধে দেবতারা জয়ী হন। তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হিন্দুরা লাল সুতো বাধার প্রচলন করে আসছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.