মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অমরনাথ! জানেন কেন হয় এই 'মেঘভাঙা বৃষ্টি'



ODD বাংলা ডেস্ক: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এক প্রকারের অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিক বৃষ্টি যা হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়, যার ফলে হড়পা বান ঘটে। অন্যভাবে বললে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হল - খুব অল্প সময়ের জন্য শিলা ও বজ্রপাতের সমন্বিত অত্যাধিক পরিমান বৃষ্টি, যার ফলে ধবংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেমন – বন্যা, ভূমিধ্বস, হিমামী সম্প্রপাত, সলিফিকেসন, কাদাপ্রবাহ, মৃত্তিকা প্রবাহ, সয়েল ক্রিপ ও পুঞ্জিত ক্ষয়ের মতো।

ভূপৃস্থ থেকে ১৫ কিমি উচ্চতায় অবস্থিত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকেই মূলত মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়ে থাকে। কোনো মেঘ ভাঙা বৃষ্টি থেকে এক ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটারেরও অধিক বৃষ্টি হয়ে থাকে। ক্লাউড ব্রাস্ট (Cloudburst) এর ফলে যে বড়ো বড়ো ফোটার বৃষ্টি হয়, তা যে ল্যাংমুয়ার বৃষ্টিপাত (Langmuir Precipitation) নামে পরিচিত, এতে বৃষ্টির ফোটা গুলি পরস্পর সন্নিবিষ্ট হয়ে বৃহৎ আকার ধারন করে, ফলে দ্রুত নিচে পতিত হয়।

ল্যাংমুয়ার বৃষ্টিপাত পদ্ধতি কেবল মাত্র সেই সব মেঘের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যেগুলি ফ্রিজিং পয়েন্ট  (freezing point) এর উদ্ধে উত্থিত হয় না। ক্লাউড ব্রাস্ট (Cloudburst) এর উপরের অংশে তাপমাত্রা দ্রুত ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। ফল স্বরূপ বৃষ্টির ফোটা গুলি পরস্পর সংঘর্সের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে বৃহৎ আকৃতি ধারন করে খুব দ্রুত নিচে পরে। কোনো কোনো মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (Cloudburst) এর সময় প্রতি মিনিটে ২০ মিমি এর বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। ক্লাউড ব্রাস্ট (Cloudburst) এর ফলে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি ঘটে ও সম্পত্তি নষ্ট হয়। ক্লাউড ব্রাস্ট (Cloudburst) এর ফলে হড়পাবান ও প্রবল বন্যা হয়ে থাকে।

যেমন – ২০১৩ সালের ১৬ জুন উত্তরাখন্ডে এর  ফলে মানুষের প্রান হানি ঘটে ও সম্পত্তি নষ্ট হয়। সম্প্রতি শুক্রবার বিকেলে কাশ্মীরের বালতাল এলাকায় মেঘ ভেঙে বৃষ্টির ফলে অন্তত ১৬ জন অমরনাথ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৪০ জন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.