দাঁত পিষে কথা বলেন? রাগিয়ে দিচ্ছেন লক্ষ্মীকে! হতে পারে লোকসান

 


ODD বাংলা ডেস্ক:যে কোনও ধরনের অভ্যাস, তা সে ভালো হোক বা খারাপ, আমাদের ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকে। কোনও বদঅভ্যাস থাকলে, তা যদি সঠি সময়ে পাল্টে ফেলা না-হয়, তা হলে জীবনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই আর্থিক অভাবের মধ্যে দিন কাটান। জ্যোতিষ মতে, বদ অভ্যাসগুলি অনেক সময় আর্থিক অনটনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শাস্ত্রে এই অভ্যাসগুলি এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। কোন অভ্যাস পরিবর্তন করে আর্থিক সমস্যা কাটিয় উঠতে পারেন জেনে নিন।

​বাস্তু দোষের কারণ এই অভ্যাস



অনেকে বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে বসে বা দাঁড়িয়ে কথা বলে থাকেন। বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী বাড়ির প্রবেশদ্বার একটি মুখের মতো, তার সামনে বসলে উন্নতির পথে বাধা সৃষ্ট হয়। অনেকে আবার নোংরা পোশাক পরে থাকেন। শাস্ত্র মতে এই অভ্যাসও ভালো নয়। কারণ এটি স্বাস্থ্য ও মন উভয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। নোংরা কাপড় ব্যক্তির উন্নতির পথের কাঁটা হয়ে ওঠে।


​আপনার এই অভ্যাসই দুঃখের কারণ


অনেকে সবসময় দাঁত পিষতে থাকেন। এর ফলে ব্যক্তির দুশ্চিন্তা ও স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পায়। আপনারও এই অভ্যাস থাকলে তা শীঘ্র শুধরে নিন। শাস্ত্র মতে দাঁত পিষলে দুঃখ বাড়ে এবং আর্থিক পরিস্থিতি নষ্ট হতে শুরু করে। লক্ষ্মীও রেগে যেতে পারেন এর ফলে অন্য দিকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের জন্য দান করাকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। শুধু অর্থই নয়, বরং সাহায্যের মাধ্যমেও দান করা যেতে পারে। দানী বা উদার ব্যক্তির কাছে অর্থ খুব বেশি দিন টিকে থাকে না।


​এই অভ্যাস কম আয়ু ও আর্থিক ক্ষতির কারণ


শাস্ত্র মতে সূর্যোদয়ের পরে ও সূর্যাস্তের সময় কখনও ঘুমানো উচিত নয়। পাশাপাশি এ সময় বাড়ি ঝাট দেওয়া ও মোছাও উচিত নয়। শাস্ত্র মতে এমন করলে আয়ু ও আর্থিক লোকসান হয়। এ সময়ে দেবী-দেবতার পূজার্চনা করা উচিত। তা না-করে এই সময়ে ঘুমিয়ে থাকলে ব্যক্তি দেব-দেবীর বিরাগভাজন হতে পারে।


​এই কাজ করলে রেগে যান লক্ষ্মী



অনেকের খাবার খাওয়ার পর এঁটো বাসন যে কোনও স্থানে রেখে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে। আবার অনেকে রাতের এঁটো বাসন সকালে ধুয়ে থাকেন। এই অভ্যাস পাল্টে ফেলা উচিত। এমন করলে লক্ষ্মী রেগে যান। বরং একটি নির্দিষ্ট স্থানে এঁটো বাসন রাখা উচিত। আবার রাতেই বাসন ধুয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেয় জ্যোতিষ শাস্ত্র।


​সমস্যা বাড়াবে এই অভ্যাস


জ্যোতিষ ও বাস্তু মতে বাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। বাড়িতে কখনও যাতে মাকড়সার জাল না-থাকে, আবার বাঁদুর যাতে বাড়ির কোনও কোণে বাসা না-বাঁধে তা-ও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এর ফলে পরিবারের সদস্যদের দুশ্চিন্তা ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি কোনও না-কোনও কারণে আর্থিক সমস্যার আনাগোনা লেগেই থাকে। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। মনে রাখবেন, কখনও একা লক্ষ্মীর পুজো করতে নেই। লক্ষ্মীর পাশে বিষ্ণুকেও রাখবেন। বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর এক সঙ্গে পুজো করলে বিশেষ আশীর্বাদ পেতে পারেন।


​এই অভ্যাস থাকলে জলের মতো টাকা খরচ হয়



মেঝেতে লেখা বা যে কোনও কাজে নিজের জোর চালানো মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। এই অভ্যাস শীঘ্র পাল্টে ফেলুন। আবার অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মনমর্জিমাফিক কাজ করবেন না। অর্থ সঞ্চয়ের ওপর জোর দেওয়া উচিত। এর ফলে খারাপ সময় কোনও সমস্যা হবে না। অন্য দিকে মেঝেতে লেখাকে শাস্ত্রে মোটেও ভালো মনে করা হয় না। শাস্ত্র মতে মেঝেতে লিখলে জাতকের কপালে ঋণের বোঝা বাড়ে। তাই মেঝেতে লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.