বর্ষা মানেই চুলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত! মুক্তির উপায় কী?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিদিশার নিশার মতো বড় চুলের সাধ পূরণ হবে কী করে? উত্তর একটাই। চুলের যথাযথ যত্ন নিতে হবে।


বর্ষা মানেই মাটির সোঁদা গন্ধ। মন ভাল করে দেওয়া বৃষ্টির বিকেল। আবার সেই বর্ষার আর্দ্রতাই কেড়ে নেয় চুলের সজীবতা। বর্ষা মানেই চুলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতিতে সাধের চুলের যত্ন নেবেন কী ভাবে? রইল টিপস।


বর্ষাকালে চুল রুক্ষ, নির্জীব হয়ে ওঠে। বিশেষত যাঁদের মাথাজুড়ে কোঁকাড়ানো চুল আছে, তাঁরা মুশকিলে পড়েন সব থেকে বেশি। তাছাড়া চুলে রং করেছেন বা স্ট্রেট করিয়েছেন এমন মানুষদের সমস্যাও বাড়ে বছরের এই সময়টাতে। পরিণতি হিসেবে চুল ছোট করে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন অনেকেই। ছোট চুল অর্থাৎ পিক্সি, বব এই সব সাজ এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু বিদিশার নিশার মতো বড় চুলের সাধ পূরণ হবে কী করে? উত্তর একটাই। চুলের যথাযথ যত্ন নিতে হবে।


বর্ষাকালে চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেই ক্ষেত্রে ভাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেগুলিতে ক্ষারের মাত্রা কম। চুল যাতে পুষ্টি পায় এবং আর্দ্র ভাব থাকে তার জন্য ভাল কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার লাগাবেন না। এবং পরিশেষে চুল ভাল করে ধুতে হবে।

চুল শুকনো করতে ড্রায়ারের বদলে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। চুল ধোয়ার পরে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে ভাল সিরাম। এটি চুলকে এলোমেলো হতে দেবে না। পাশাপাশি আর্দ্রতার কারণে হওয়া রুক্ষতাও দূর করবে।

বর্ষার সময়ে চুলের সমস্যা বাড়লে, চুল কেটে ছোট করে ফেলার বদলে ট্রিমিং অবশ্যই একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এতে যেমন চুলের সৌন্দর্য্য বজায় থাকে, ঠিক তেমনই রুক্ষ চুলের ডগা, স্প্লিট এন্ড থেকেও নিমেষে মুক্তি পাওয়া যায়।

অফিস হোক বা পার্টি, সাজের সঙ্গে মানানসই কেশ সজ্জাই হল সাজের শেষ কথা। এই সময় খুব বেশি জটিল করে চুল না বাঁধা'ই ভাল। এতে জট পড়ে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সাজ সম্পূর্ণ করতে ভরসা রাখুন, পনিটেল, খোঁপা, বা সুন্দর বিনুনির উপরে। প্রয়োজনে ব্যবহার করুন কেশসজ্জার বিভিন্ন আনুষঙ্গিক।

রোদ সব সময়েই চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া দূষণ তো আছেই। চেষ্টা করুন ছাতা, স্কার্ফ ইত্যাদি ব্যবহার করতে।

বৃষ্টির জল চুলের ক্ষতি করে। তাই বৃষ্টিতে ভেজার পরে অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিন।

এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার কারণে ঘাম জমে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। প্রয়োজনে চুল পরিষ্কার রাখতে একদিন অন্তর শ্যাম্পু করুন।

ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না। এতে চুল বেশি পড়ে।

অন্যের ব্যবহার করা চিরুনি ব্যবহার করবেন না। এতে অজান্তেই স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়া চলে আসতেই পারে।

মনে রাখবেন চুলের খাদ্য তেল। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন চুলের গোড়ায় ভাল করে তেল মাখুন। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করার ঘণ্টা খানেক আগে তেল মাখুন। অনেকে সারারাত তেল লাগিয়ে রাখেন চুলে। এতে চুল উজ্জ্বল দেখায়। যদিও এটি বর্ষাকালে না করাই ভাল।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে। অ্যালোভেরা, মধু, কলা, দই ইত্যাদি দ্বারা তৈরি মাস্ক ব্যবহার করুন।

এত গেল চুল ভাল রাখার সহজ কথা। এর পাশাপাশি, তেল ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ডায়েটে অবশ্যই মরসুমি ফল ও শাকসব্জি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। রাতে অন্তত আট ঘন্টার পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্ট্রেস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর চুল আসলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেরই ফসল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.