চাঁদেরও কলঙ্ক আছে! জানুন এর আসল রহস্য
ODD বাংলা ডেস্ক: চাঁদ দেখলে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। এর সৌন্দর্য সবাইকেই বিমোহিত করে। তাইতো চাঁদ নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা, ছন্দ ইত্যাদি আরো কত কি। প্রিয়জনকে চাঁদের সঙ্গেও তুলনা করেন অনেক প্রেমিক। চাঁদের নজরকাড়া সৌন্দর্যের কাছে সবকিছুই হার মানে।
তবে এতো সৌন্দর্যের মধ্যেও বলা হয়, চাঁদের কলঙ্ক আছে! হ্যাঁ, খুবই পরিচিত এই বাক্যটি প্রায়ই আমরা ব্যবহার করে থাকি। বলার জন্য কথাটি বলে থাকলেও, এর আসল তথ্যটি অনেকেই জানেন না। তাইতো আজ আপনাদের জানাবো এর আসল রহস্যটি-
চাঁদকে একেক জন একেকভাবে দেখে। খালি চোখে চাঁদকে কেউ হাসি হাসি গোলগাল মুখ মনে করেন। আবার কেউ কেউ দেখেন, চাঁদের মধ্যে বসে বুড়ি মা চড়কা কাটছে। কেউ আবার বলে বুড়ি নয়, ওটা একটা খরগোশ। “শশ” মানে খরগোশ, তাই অনেকের ধারনা এখান থেকেই চাঁদের নাম এসেছে শশধর, শশাঙ্ক। তবে যা-ই মনে হোক, ওগুলো চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগ ছাড়া আর কিছু নয়।
সূর্যের মতোই চাঁদেও কলঙ্ক আছে। সূর্যের কলঙ্কের বিষয়ে খুব বেশিকিছু জানতে না পারলেও, চাঁদের এগুলো সম্পর্কে জানা গেছে। ওগুলো হচ্ছে চাঁদের শুকনো সমুদ্র। সৃষ্টির প্রথম দিকে হয়তো সেই সমুদ্র জলে ভরা ছিল। তবে এখন তা শুষ্ক। শুধু সমুদ্র নয়, সারা চাঁদটাই শুষ্ক, সম্পূর্ণ জলহীন। কোথাও জলের বাষ্পটুকুও নেই।
তবু মানুষ এদের ১৪টি নাম রেখেছে– মেঘসমুদ্র, বৃষ্টিসাগর, শান্তিসাগর, মহাসাগর ইত্যাদি। এরা চাঁদের দেখা দিকটার তিন ভাগের এক ভাগ জুড়ে আছে। নিচু বলে এখান থেকে আলো ঠিকরে আমাদের কাছে আসে না, তাই এগুলো পৃথিবী থেকে কালো দাগের মতো দেখায়। চাঁদের উল্টো পিঠের একটি প্রকান্ড খাদ, যা পৃথিবী থেকে কালো দাগের মতো দেখায়। বিজ্ঞানীরা চাঁদের উল্টো পিঠকে চাঁদের কলঙ্ক বলে অভিহিত করেছেন।
আর এই কারণেই বলা হয় চাঁদের কলঙ্ক আছে। নিশ্চয়ই এখন অজানা এই তথ্যটি জানা হয়ে গেলো? চাঁদ অতুলনীয় সুন্দর। এতে লেগে থাকা দাগও এর সৌন্দর্য কোনোভাবেই কমাতে পারে না।
Post a Comment