৬৩ বছর বয়সে প্যারাগ্লাইডিং! বয়স কেবল সংখ্যামাত্র, ছেলের সঙ্গে ভারতভ্রমণে বেরোলেন মা
ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স বাড়লে হয় বন্ধুবান্ধব, না হয় সঙ্গীর সঙ্গেই ঘুরতে যেতে স্বচ্ছন্দবোধ করি আমরা! বাবা-মাকে নিয়ে ঘোরার কথা খুব কম লোকেই ভাবেন।
ছোটবেলায় পুজোর ছুটি হোক কিংবা গরমের ছুটি বাবা-মায়ের কাছে ঘুরতে যাওয়ার আব্দার আমরা কমবেশি সবাই করেছি। আর বাবা-মায়েরাও সময় সুযোগ করে আমাদের সেই আব্দারগুলি পূরণ করেছেন। তবে বয়েস বাড়লে তাঁদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা আমরা ক’জন মনে রাখি, বলতে পারেন? বয়স বাড়লে হয় বন্ধুবান্ধব, না হয় সঙ্গীর সঙ্গেই ঘুরতে যেতে স্বচ্ছন্দবোধ করি আমরা! বাবা-মাকে নিয়ে ঘোরার কথা খুব কম লোকেই ভাবেন।
তবে দিল্লির মা-ছেলের এক জুটির কথা শুনলে আপনারা চমকে যাবেন। এস ভেঙ্কটেশ এবং তাঁর মা, সুভা সূর্যনারায়ণন ঠিক করেছেন, তাঁরা জুটি বেঁধে সারা ভারত পরিভ্রমণ করবেন। ৬৩ বছর বয়সি মাকে নিয়ে ছেলের এই ভাবনা সত্যিই অভিনব। না কেবল তীর্থ স্থান নয়, তাঁদের এই ভ্রমণে কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারেরও কমতি নেই।
এই জুটি ইতিমধ্যেই সিমলা, ধর্মশালা, জিবি, গোয়া, ঋষিকেশ, জয়পুর, চণ্ডীগড়, অমৃতসর এবং কাশ্মীরের মতো গন্তব্যগুলি ঘুরে ফেলেছেন। সম্প্রতি এই মা-ছেলের যুগল পরাশর লেক ট্রেক এবং সেরোলস্কর লেক ট্রেকও সম্পন্ন করেছেন— ৬৩ বছর বয়েসে এই ট্রেক সম্পন্ন করা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। মাকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙ্কটেশ হাইকিং এবং প্যারাগ্লাইডিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চার করা থেকেও পিছু পা হননি।
ভেঙ্কটেশের মতে, ‘‘যাঁরা মনে করেন অভিভাবকদের সঙ্গে ভ্রমণ করা কঠিন, তাঁরা ভুল ভাবেন। বয়স কেবল সংখ্যামাত্র। ইচ্ছে থাকলেই সবটা সম্ভব! আমি আমার বয়সি লোকেদের তাদের বন্ধু বা সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণ করতে দেখি, কিন্তু আমার মা আমার সেরা ভ্রমণসঙ্গী। আমরা একসঙ্গে ভ্রমণের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি।’’
ভেঙ্কটেশ সকলের কাছেই বাবা-মায়ের জন্য খানিকটা সময় বার করার আর্জি জানিয়েছেন। ভেঙ্কটেশের মতে, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলুন, তাঁদের বেড়াতে নিয়ে যান, তাঁদের সঙ্গে কাটানো ছোট ছোট মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখুন, দেখবেন এতেই জীবনের আসল স্বাদ খুঁজে পাবেন!
Post a Comment