২০২৩ সাল পর্যন্ত শনির সাড়ে সাতি চলবে এই একটি রাশিতে! জীবনে আসবে বিপর্যয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: Saturn Retrograde অর্থাত্‍ শনির বক্রী চলন ৪৫ দিন পরে ফের শুরু হবে। এবার ১৪১ দিন ধরে বিপরীতমুখী চলন করবে শনি। শনির এই বক্রী চলনের প্রভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শনির সাড়ে সাতি দশার কবলে থাকবেন ধনু রাশির জাতকরা। তার ফলে এই সময়ের মধ্যে জীবনে নানা সংকটের মধ্যে পড়তে হবে ধনু রাশির জাতকদের। এই পরিস্থিতিতে সহজ জ্যোতিষ টোটকা ব্যবহার করে শনির রোষ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধনুর উপর শনির সাড়ে সাতি চলা ছাড়াও মকর ও কুম্ভ রাশিতে থাকবে শনির অর্ধ-শতাব্দী।


সপ্তধান্য কী?


জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন যে সাতটি শস্য নিবেদন করলে শনি প্রীত হন। যে সাত শস্যের উপচার পেলে শনি খুশি হন সেগুলিকে একসঙ্গে সপ্তধান্য বলা হয়ে থাকে। এই সাত শস্য হল - বার্লি, গম, ধান, তিল, ভুট্টা, বিউলি এবং মুগডাল। শনির অর্ধ-শতাব্দীর গ্রাসে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা শনিদেবকে প্রীত করতে সপ্তধান্য নিবেদন করতে পারেন।


কেন সপ্তধান্য শনির প্রিয়?


একবার শনি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। শনিকে ভীত অবস্থায় দেখে নারদ মুণি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন যে কর্মফল বিচার করে তাঁকে এখন সাতজন সন্ন্যাসীকে শাস্তি দিতে হবে। নারদ তখন তাঁকে বলেন যে শনি বরং কিছু করার আগে সাত জন সন্ন্যাসীর পরীক্ষা নেওয়া উচিত। নারদের উপদেশ মেনে নিয়ে শনি তখন ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশ ধারণ করে সাত সন্ন্যাসীর কাছে পৌঁছন।


শনি তাঁদের কাছে যেতেই ওই সাত সন্ন্যাসীর উপর শনির দশা শুরু হয়ে যায়। তাতে তাঁরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেন যে শনি হলেন কর্মফলের দেবতা, খারাপ কাজ করলে তাঁর কাছ থেকে শাস্তি তো পেতেই হবে। তার সঙ্গে তিনি সূর্যদেবের পুত্র এবং স্বয়ং মহাদেবের আশীর্বাদ রয়েছে তাঁর উপর। শনি যে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী, সেই কথাই আলোচনা করেন তাঁরা। তাঁদের কথা শুনে শনী তুষ্ট হয়ে নিজের আসল রূপে ফিরে আসেন। তখন ওই সাত সন্ন্যাসী প্রত্যেকে একটি করে শস্য দিয়ে শনির পুজো করেন। সেই থেকে এই সাত শস্য দিয়ে কেউ শনির পুজো করলে তাঁর উপর থেকে নিজের কুদৃষ্টি সরিয়ে নেন শনি।


মনে করা হয় সপ্তধান্য দিয়ে সম্পূর্ণ ভক্তি সহকারে শনির পুজো করলে শনির রোষ অনেকটাই এড়ানো যায়। এর ফলে শত্রুনাশ হয় এবং অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.