জেলায় হু হু করে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা, ইঁদুর থেকে দূরে থাকার বার্তা স্বাস্থ্য আধিকারিকের


ODD বাংলা ডেস্ক: করোনার চোখ রাঙানির মাঝে এবার আতঙ্ক ধরাচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। বিশেষত, হুগলি জেলায় ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। ইতিমধ্যে জেলায় ১৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকের একই উপসর্গ- জ্বর, শ্বাসকষ্ট। এদিকে, করোনারও একই উপসর্গ। ফলে রোগ নির্ণয় করাও দুরূহ হয়ে উঠছে। পরীক্ষা না করা পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা সহজ নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা। আর সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় না হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইঞা বলেন, "এখন অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। করোনাও বাড়ছে। স্ক্রাব টাইফাস সম্বন্ধে ধারণা সাধারণ মানুষের খুবই কম। তাই কেউ আক্রান্ত হলে ধরা পড়তে সময় লাগছে।"

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জেলায় মোট ১৫ জন স্ক্রাব টাইফাসে  আক্রান্ত। যার মধ্যে ৩ জন ভর্তি চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। এছাড়া মগড়ায় ৪জন, পোলবায় ৪ জন, ধনিয়াখালিতে ১ জন, হরিপালে ১ জন পান্ডুয়ায় ১ জন এবং পুরশুড়ায় ১ জন আক্রান্ত। করোনার সঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গ এক হলেও পরীক্ষা করলে বোঝা যায়। জেলা হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। মহকুমা হাসপাতালগুলিতেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

স্ক্রাব টাইফাস ইঁদুর থেকে সংক্রমিত হয়। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইঞা বলেন, "ইঁদুর স্ক্রাব টাইফাসের বাহক। ইঁদুর থেকে সাবধান থাকতে হবে। ইঁদুর আসতে পারে এমন কোনও খাবার বা বর্জ্য বাড়ির কাছে ফেলা উচিত নয়। ঝোপে-জঙ্গলে শিশুদের যেতে না দেওয়া, বড়রা যদি কাজের জন্য ঝোপে বা জঙ্গলে যান তাহলে বাড়িতে ঢুকেই জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন।"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.