স্ক্রাব টাইফাসও হতে পারে প্রাণঘাতী! লক্ষণ, চিকিৎসা নিয়ে মুখ খুললেন চিকিৎসক

 


ODD বাংলা ডেস্ক: এখন চারিদিকে রোগের ছড়াছড়ি। এর মাঝেই আবার খাস কলকাতায় হাজির হল স্ক্রাব টাইফাস। এই শহরের মানুষ স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এবার এই রোগটি নিয়ে সতর্ক করলেন চিকিৎসক।


এই প্রসঙ্গে কলকাতার আমরি হাসপাতালে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আসলে স্ক্রাব টাইফাস (Scrub Typhus) হল একটি জুনোটিক ডিজিজ। এই ধরনের রোগকে বাংলায় পশুমারি বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পশুর শরীরে থাকে এই রোগের ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়ার নাম Orientia Tsutsugamushi. সাধারণত মেঠো ইঁদুরের শরীরে থাকে এই ব্যাকটেরিয়া। তারপর ট্রম্বিকিউলিট মাইট (Trombiculid Mite) নামক একটি মাকড় সেই পশুকে কমড়ালে তার শরীরে চলে আসে এই ব্যাকটেরিয়া। এরপর সেই মাকড়ের কোনও লার্ভা সুস্থ মানুষকে কামড়ালে তার শরীরে প্রবেশ করে যায় এই ব্যাকটেরিয়া। তখন রোগ তৈরি হয় মানুষের শরীরে।


Scrub Typhus


কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

এই প্রসঙ্গে ডা: পাল জানালেন, এক্ষেত্রে এই উপসর্গ থাকে (Scrub Typhus Symptoms)-

১. জ্বর থাকে

২. গা, হাত, পায়ে ব্যথা হয়।

৩. মাথা ব্যথাও থাকতে পারে। এগুলিই মূলত লক্ষণ।


এছাড়া এই লার্ভা যেখানে কামড়ায় সেই জায়গায় কালো একটা Rash হয়। এটা এক বা দুটি থাকতে পারে।


কতটা সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে?

আসলে এই রোগের ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অনেক সমস্যাই দেখা দেওয়া সম্ভব। ডা: পালের কথায়, হতে পারে কিডনি, লিভারের সমস্যা। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণের কারণে হতে পারে এনকেফালাইটিস। তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।


কী ভাবে রোগ নির্ণয়?

 প্রথমত জ্বর নিয়ে রোগী আসেন। তাই প্রথমে রোগ চেনা যায় না। তবে সন্দেহের কারণে আমরা সরাসরি স্ক্রাব টাইফাসের ব্লাড টেস্ট করতে বলি। এই টেস্টের (Scrub Typhus test) মাধ্যমেই রোগ ধরা পড়ে যায়।


চিকিৎসা কী?

ডা: পালের কথায়, ঠিক সময়ে রোগের চিকিৎসা (Scrub Typhus Treatment) হলে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই রোগী ভালো হয়ে যায়। চিন্তার কোনও কারণ থাকে না। তবে রোগের চিকিৎসা দেরিতে হলে সমস্যা বাঁধে। এক্ষেত্রে প্রাণহানীও সম্ভব। তাই সতর্ক থেকে জ্বর বা অন্যান্য লক্ষণ অবহেলা নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.