কাঁধে অসহ্য যন্ত্রণা হয়? এই ঘরোয়া উপায়েই ব্যথা হবে দূর



 ODD বাংলা ডেস্ক: কাঁধে ব্যথায় ভুক্তভোগী মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এবার দেখা গিয়েছে যে এই সমস্যার ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকতে পারলেই সমস্যা প্রথমেই কমে যেতে পারে। তবে আমাদের স্বভাব হল রোগ ফেলে রাখা। তাই সমস্যা নিত্যদিন বাড়তেই থাকে।


আসলে এখনকার দিনের বেশিরভাগ মানুষ কাজ করেন কম্পিউটারে। সেই সকালে কাজ করতে বসছেন। তারপর চলছে চলছে তো চলছেই। কাজ শেষ করতে করতে সন্ধে গড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই কারণেই সমস্যা বহুগুণ বাড়তে শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে হাড়ে, পেশিতে ব্যথা হল খুবই স্বাভাবিক। দেখা গিয়েছে যে বহু ক্ষেত্রেই মানুষের কাঁধে ব্যথা  হতে পারে। এবার ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা একবার শুরু হলে জীবন কঠিন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যথা  হয়ে থাকে। এমনকী একটা এমন সময়ও আসে যখন সাধারণ কাজটাও করা যায় না।


এবার এই সমস্যা দেখা দিলেই বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে চিকিৎসা করার দিকে এগতে চান না। তবে কিছুদিন পর যখন এই সমস্যা কমে না তখন ওষুধের দোকানে গিয়ে কিনে আনেন পেইনকিলার। প্রথমে এই পেইনকিলার খেয়ে ব্যথা কমে যেতে পারে। তবে একটা সময়ের পর ব্যথা কমবে না। তখন সমস্যা দেখা দিতে পারে।



তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলার চেষ্টা করুন 


১. আইস থেরাপি

এক্ষেত্রে আইস থেরাপি ) দারুণ কার্যকরী হতে পারে। দেখা গিয়েছে যে এই থেরাপির মাধ্যমে খুব সহজেই কমে যেতে পারে ব্যথা ও ফোলা। নতুন ব্যথার ক্ষেত্রে আইস থেরাপি বেশি উপকারী। পেশি ও জয়েন্ট দুই ব্যথার ক্ষেত্রেই কার্যকরী হল বরফ। কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে একটা তোয়ালেতে বন্দি করুন। তারপর ২০ মিনিট ধরে সেই জায়গায় লাগান। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।



২. গরম সেক

আসলে বরফ নতুন ব্যথায় কাজে লাগে। তবে পুরনো ব্যথার ক্ষেত্রে কার্যকরী হল গরম সেক। ব্যথা ও জয়েন্টের কাঠিন্য আটকে দিতে পারে গরম সেক। আপনি কাপড় গরম করে সেক দিতে পারেন বা চাইলে গরম জল ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই জায়গার রক্তপ্রবাহ বাড়তে পারে। ফলে ব্যথা কমে।


৩. নুন জলে স্নান

বহু যুগ ধরেই মানুষ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছেন। এক্ষেত্রে ব্যথা ও ফোলাভাব কমতে পারে। দেখা গিয়েছে যে নুন জলে  স্নান করতে পারলে পেশির ব্যথা কমে। এমনকী কমে যায় ফোলাভাব। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নুন জলে স্নান করলে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। তাই ব্যথা ফোলা কমে। এবার আপনি অনায়াসে দিনে ৩০ মিনিট এই জলে স্নান করতে পারেন। আশা করছি কাঁধের ব্যথা কমবে।


তবে এরপরও ব্যথা না কমলে চিকিৎসের পরামর্শ নিন। এভাবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা কমবে বই, বাড়বে না। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.