ময়েশ্চারাইজার আর বডি লোশনের মধ্যে ফারাক কী? কোনটি কখন ব্যবহার করবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বয়সের ছাপ সবচেয়ে আগে পড়ে মুখে। মানসিক চাপের প্রতিফলনও তেমন মুখেই দেখা যায় প্রথমে। তাই ত্বকের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। বিশেষ করে যাঁদের ত্বকে আর্দ্রতা কম, তাঁদের ত্বকের বয়স তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। বয়সের ছাপ এলে প্রথমেই ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। তাই সারা বছর ত্বক আর্দ্র রাখা জরুরি।


বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকেই। ত্বক আর্রদ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার এবং বডি লোশন দুইয়েরই চল যথেষ্ট। এই দু’টি প্রসাধনী ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, সেটা আগে জানা প্রয়োজন।


ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার:


বয়স যত বাড়ে, ত্বক সতেজ রাখার তৈল গ্রন্থিগুলি তেল উৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি রোদের প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকেও রক্ষা করে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে তেলহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


লোশনের ব্যবহার:


আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কনুই, হাঁটুর অংশের ত্বক ক্ষয় হতে শুরু করে। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এমন হলে বডি লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। সুগন্ধি লোশন আপনাকে শান্ত এবং শিথিল করতে সাহায্য করে। কিছু লোশন আপনার মুখের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ওষুধযুক্ত লোশন রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা এবং ঘা নিরাময় করে। বডি লোশন কিন্তু ভুলেও মুখে ব্যবহার করবেন না।


ময়েশ্চারাইজার ত্বকের প্রতিটি কোষে কোষে ঢুকে ক্ষত নিরাময় করে। কিন্তু বডি লোশন হালকা। এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় ত্বকের উপরিতলের ক্ষত নিরাময় করে। আপনাকেই বুঝতে হবে ত্বকের ঠিক কেমন যত্ন প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.