স্মার্টফোন আপনাদের সম্পর্কের পথে কাঁটা হয়ে উঠছে না তো?

ODD বাংলা ডেস্ক: অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কুফল সম্বন্ধে অনেক লেখা হয়েছে। স্মার্টফোনের আলো চোখ আর ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর, মাথার কাছে সেলফোন নিয়ে ঘুমোলে আপনার মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এ ধরনের তথ্য হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু এটা কি জানেন, অতিরিক্ত সেলফোনের ব্যবহার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে আপনার প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্কেও? সুখী সম্পর্কের মধ্যে সেলফোনের এই দেওয়াল হয়ে দাঁড়ানোর একটি ইংরেজি পরিভাষাও আছে, ‘ফাবিং’। মাত্রাতিরিক্ত সেলফোন আসক্তি থেকে স্ট্রেস আর ডিপ্রেশন জন্মানোও বিচিত্র নয়।

কীভাবে বুঝবেন সেলফোন আপনাদের সম্পর্কের মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিনা? চোখ বুলিয়ে নিন নিচের পয়েন্টগুলোয়!

ঘনিষ্ঠতম মুহূর্তেও আপনাদের হাতের কাছে ফোন থাকে
রোমান্টিক ক্যান্ডল লাইট ডিনার থেকে শুরু করে বিছানার উষ্ণতা, সর্বত্র আপনাদের হাতের নাগালেই স্মার্টফোনটা রেখে দেন আপনারা। শুধু রেখেই দেন না, ক্ষণিকের অবসরে মেসেজ বা ফেসবুকে উঁকি মারতেও ছাড়েন না। এর অর্থ, আপনারা আসলে পরস্পরের সঙ্গে নেই, আপনাদের মন পড়ে রয়েছে ফোনের দিকেই। সম্পর্কের উষ্ণতায় ঠান্ডা জল ঢেলে দেওয়ার জন্য এমন দু’ একটা ঘটনাই যথেষ্ট!

আপনাদের যে কোনও কথোপকথনে ব্যাঘাত ঘটায় ফোন
খুব জরুরি কিছু আলোচনা করছেন স্বামীর সঙ্গে, অথচ তাঁর নজর রয়েছে ফোনের দিকে। আপনার কথার উত্তরে তিনি হুঁ হাঁ ছাড়া বিশেষ কিছু করছেন না, বরং দ্রুত হাতে টাইপ করছেন মেসেজের উত্তর। তিনি যে আপনার কথা শুনছেন না তা নয়, কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে মেসেজের গুরুত্ব তাঁর কাছে বেশি। এক দু’বার এমন হতেই পারে, কিন্তু এটাই যদি নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, তার প্রভাব সম্পর্কের উপর পড়তে বাধ্য।

স্বামী আপনার করা মেসেজের উত্তর সঙ্গে সঙ্গে না দিলে আপনি বিচলিত হয়ে পড়েন
স্বামী/প্রেমিক কত তাড়াতাড়ি আপনার মেসেজের উত্তর দিচ্ছেন, সেটা কি আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ? স্বামী দ্রুত মেসেজের উত্তর না দিলে কি আপনার মানসিক সমস্যা হতে শুরু করে? তা হলে কিন্তু আপনার জীবন অত্যন্ত ফোন-নির্ভর হয়ে পড়েছে। এই সমস্যাটা কাটিয়ে উঠুন। ফোন ধরা বা সঙ্গে সঙ্গে মেসেজের উত্তর দেওয়া ছাড়াও একটা মানুষের আরও অনেক কাজ থাকতে পারে, সেটা বুঝতে হবে আপনাকে।

অতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহার
এমন অনেকেই আছেন যাঁরা প্রতি কথায় ইমোজি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের প্রেমজীবনটাও মেসেজ আর ইমোজি নির্ভর হয়ে পড়ে। সবসময় মেসেজ বা ইমোজিতে ভালোবাসার কথা না জানিয়ে সাক্ষাতে কথা বলুন। শারীরিক স্পর্শ, হাসি, আদর - এই বিষয়গুলো দুটি মানুষের সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একান্তই লং ডিসট্যান্স সম্পর্কে না থাকলে চেষ্টা করুন দিনের মধ্যে অন্তত কিছুটা সময় পরস্পরের সান্নিধ্যে কাটানোর। তাতে সম্পর্কে ফিরে আসবে নতুন টান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.