বাদ গেল বহু অতি প্রয়োজনীয় ‘অত্যাবশ্যক’ ওষুধ

ODD বাংলা ডেস্ক:  সরকারি হাসপাতালের অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকায় ব্যাপক রদবদল করেও প্রশ্ন বা বিতর্ক এড়ানো গেল না। ক্যানসারের কিছু অত্যন্ত দামি ওষুধ-সহ অনেক অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ ‘অত্যাবশ্যক’ তালিকার বাইরে থাকায় সমালোচনা হচ্ছে। 

গত ৫ জুলাই প্রকাশিত ওই তালিকায় বলা হয়েছে, সব ধরনের ‘এসেনশিয়াল ড্রাগ’ বা অত্যাবশ্যক ওষুধ সর্বস্তরের হাসপাতালে থাকবে না। সব চেয়ে বেশি অত্যাবশ্যক ওষুধ থাকছে এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগ রয়েছে, এমন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে। সেখানে অত্যাবশ্যক ওষুধের সংখ্যা হয়েছে ৯২১। আর সব চেয়ে কম অত্যাবশ্যক ওষুধ থাকছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তরে। সেখানে ওষুধের সংখ্যা ঠিক হয়েছে ৮৫।

ওষুধের তালিকায় রদবদলের পরিকল্পনা প্রথমে নেওয়া হয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। ২০২১-এর নভেম্বরে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালের স্তর পর্যন্ত ওষুধের একটা প্রাথমিক তালিকা ঠিক করে দেওয়া হয়। তার প্রায় সাত মাস পরে, চলতি বছরের ৫ জুলাই বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতালে অত্যাবশ্যক ওষুধের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।অত্যাবশ্যক ওষুধের নতুন তালিকায় প্রায় ৯৩০ ধরনের ওষুধ রয়েছে। আগে এই সংখ্যা ছিল ১১০০-র মতো। 

তবে তালিকায় হেমাটোলজি, রিউমেটোলজি, এন্ডোক্রিনোলজির মতো ‘সুপার স্পেশালিটি’ বিভাগের বিপুল সংখ্যক ওষুধ ঢোকানো হল এই প্রথম। হেমাটোলজিতে ১৬টি, এন্ডোক্রিনোলজির ১৭টি এবং রিউমেটোলজির ১২টি নতুন ওষুধ এই প্রথম সরকারি অত্যাবশ্যক তালিকার অন্তর্ভুক্ত হল। চোখ, কার্ডিয়োলজি, সাইকিয়াট্রি, নিউরোলজি, ক্যানসার, ত্বক, কিডনির বেশ কিছু ওষুধ এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় ইমিউনো সাপ্রেসিভ ড্রাগ, কিছু স্টেরয়েডও এই প্রথম তালিকায় এল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.