টিনএজ সন্তান? এই কাজে মনোযোগ না দিলে কেরিয়ার ও ভবিষ্যত কিছুই হবে না!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ইন্টারনেট আজ সুবিধার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তবে এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। কিশোর শিশুদের জন্য ইন্টারনেট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এই বয়সে শিশুদের ভুল পথে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, তাই অভিভাবকদেরও সতর্ক হতে হবে। এখন প্রায় সব বয়সের শিশুরা অনলাইন গেম খেলার জন্য, বাড়ির কাজের জন্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেট শিশুদের পড়াশোনায় অনেক সাহায্য করেছে, কিন্তু এর সঙ্গে সাইবার ক্রাইমের বিপদ আসে। এই কারণে, আপনাকে আপনার সন্তানের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ রাখতে হবে।


এখন শিশুরা ইন্টারনেট এবং অনলাইনে অনেক সময় ব্যয় করে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আরও বেড়েছে। আপনিও যদি একজন সন্তানের বাবা-মা হন, তাহলে আপনার সন্তানকে সাইবার ক্রাইম থেকে কী ভাবে রক্ষা করবেন তা আপনার জানা উচিত। ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে শিশুরা অনেক ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, যার মধ্যে কয়েকটি সম্পর্কে আমরা এখানে আপনাদের বলছি।

সাইবার বুলিং


আপনার শিশু অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হতে পারে বা সে অন্য কোনো শিশুকে হয়রানি করতে পারে। সাইবার বুলিং সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভিডিয়ো শেয়ার করা। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই অভিভাবকদের এ ধরনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।


সাইবার ডেটিং


এতে সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ডিজিটাল মাধ্যমে ভয় দেখাতে পারে। কিশোরী মেয়েদের ক্ষেত্রেই এমনটা বেশি হয়। এ ছাড়া কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে যৌনতাও অপরাধ। এর মধ্যে রয়েছে যৌন ছবি ও ভিডিয়ো পাঠানো। কিশোর শিশুদের মধ্যে এ ধরনের জিনিস বেশি দেখা যায়।


বাবা-মা হিসেবে যা করবেন


কিশোর-কিশোরীদের জন্য পিতামাতার দায়িত্ব অনেক বেশি। এই বয়সে শিশু কুসঙ্গে পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আপনার সন্তানের বয়স যদি টিনএজ হয়, তাহলে সে অনলাইনে কী করছে এবং ডেটা হিসট্রি এবং অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটগুলিতে নজর রাখুন আপনিও৷


​গোপনীয়তা বজায় রাখুন


আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়ের জন্য সেটিংস সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও শিশুর জন্য কিছু নিয়ম প্রণয়ন করা প্রয়োজন।


ভুল ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখা


আজকাল, শিশুদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এবং প্যারেন্টাল ব্লকের সুবিধাও আসতে শুরু করেছে। এটি শিশুকে ভুল ওয়েবসাইট থেকে দূরে রাখে।


শিশুকে শেখান


আপনার সন্তানকে শেখান কিভাবে সাইবার বুলিং এবং যৌন হুমকি মোকাবিলা করতে হয়। আপনার সন্তান যদি সাইবার অপরাধের শিকার হয়, তাহলে তার কাছ থেকে ইন্টারনেট বা ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কখনও কখনও শিশুর নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র কিছু ক্ষেত্রে এটি করা প্রয়োজন।


শিশুকে এই কাজটি করতে দিন


আপনার শিশুকে শারীরিক কার্যকলাপ এবং সামাজিক কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে যেতে উৎসাহিত করুন। এটি তাকে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখবে।


ইন্টারনেট আজ সুবিধার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে কিন্তু এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। কিশোর শিশুদের জন্য ইন্টারনেট সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারে। এই বয়সে শিশুদের ভুল পথে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, তাই অভিভাবকদেরও সতর্ক হতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.