অ্যাসিডিটি, ওজন কমাতে পারে ঠান্ডা দুধ! জানুন আরও উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দুধ হল সুষম খাদ্য। বহু মানুষ দুধ খেতে ভালোবাসেন। এর স্বাদ যেমন অনন্য, ঠিক তেমনই এর পুষ্টিগুণও ভরপুর। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই নিজের খাবারের তালিকায় এই বিশেষ পানীয়কে রাখতে হবে।


এবার দুধের (Milk) মধ্যে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সব মিলিয়ে শরীর ভালো রাখতে পারে দুধ। এবার অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে যে দুধ গরম না ঠান্ডা খেলে শরীরের বেশি উপকারে লাগে? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, ঠান্ডা দুধ (Cold Milk) খেলেই বেশিরভাগ মানুষের পেট ভালো থাকে। এমনকী এই ঠান্ডা দুধ পারে ওজন বাড়া, অ্যাসিডিটি, খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখতে। তাই মানুষের প্রতিদিন দুধ খাওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডা দুধের উপকারিতা (Benefits of Eating Milk)-


ওজন কমাতে পারে

এখন বহু মানুষের ওজন থাকে বেশি। এক্ষেত্রে ওজন বেশি থাকলে ডায়াবিটিস, প্রেশার, লিভারে ফ্যাট ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে ওজন কমানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। এবার দেখা গিয়েছে যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী হয়ে যেতে পারে দুধ। বিশেষত ঠান্ডা দুধ পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। এক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ খেলে অনেকটা সময় পেট ভর্তি থাকে। ফলে খিদে পায় না। এই কারণে মানুষের বেশি খাওয়ার প্রবণতা দূর হয়। এমনকী ওজন কমে।



পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে পেটের স্বাস্থ্য বেশিরভাগ মানুষেরই ভালো নেই। গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা লেগেই রয়েছে। এক্ষেত্রে বাঙালিদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। তাই প্রায়দিন বাঙালি বাড়িতে দোকান থেকে পাতা পাতা অ্যান্টাসিড পৌঁছে যায়। এবার দেখা গিয়েছে আপনি যদি ঠান্ডা দুধ খেতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। আসলে ঠান্ডা দুধ পারে আপনার পেট ঠান্ডা রাখতে। ফলে সমস্যা কমে গ্যাস, অ্যাসিডিটির। এছাড়া এই দুধে রয়েছে ভালো পরিমাণে তরল উপাদান। তাই এই দুধ খেলে অনায়াসে কমে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। ফলে সমস্যা মেটাতে চাইলেও আপনি এই খাবার খেতে পারেন।


তবে মনে রাখবেন, অনেকের দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারেন না। তাঁদের দুধ খেলে পেটের সমস্যা বাড়ে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রতিটি মানুষকে কিন্তু সচেতন হয়ে যেতে হবে। এই রোগ থাকলে ঠান্ডা বা গরম কোনও দুধই খাওয়া যাবে না। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.