শ্বাসকষ্ট থাকলেও এভাবে ভালো থাকা যায়, জানুন উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  শ্বাসকষ্ট (Asthma) থাকলে কিছু জিনিস মেনে চললে, অবশ্যই ভাল থাকা যায়। এবং অনেকাংশে সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভব। যেকোনও জায়গায় যাওয়ার আগে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন, এই খাবার গুলি থেকে বিরত থাকলেই আপনি হাঁপানি থেকে ভাল থাকবেন, জানুন কীভাবে।

 

শ্বাসকষ্ট থাকলে কাঁচা সামুদ্রিক খাবার খাবেন না। কারণ  সামুদ্রিক খাবার থেকে অনেক সময়ই অনেকেই অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। যাদের অ্যাজমা আছে, তাঁদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই  কাঁকড়া, চিংড়ি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ দিন।বেড়াল, কুকুরকে যারা ভালোবাসেন, তা অবশ্যই ভালো। কিন্তু হাপানি থাকলে আদর করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ লোম বা গায়ের ধুলো আপনার শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট তৈরি করতে পারে।


সাঁতার কাটলে শ্বাসকষ্ট কমে আসে। কারণ জলের স্রোতের সঙ্গে বা সাঁতারের সঙ্গে ফুসফুসে ব্যায়াম হয়। শ্বাসকষ্ট কমে আসে। দম বাড়ে। শ্বাসকষ্ট থাকলে দূষণ থেকে দূরে থাকেন। কারণ গোটা শহরই ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। বায়ু দূষণ অহরহ। গাড়ির ধোঁয়া থেকে মিথেন গ্যাস এই শহরে সবই আছে। যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। শ্বাসকষ্ট থাকলে ফুল-  প্রজাপতি থেকেও দূরে থাকুন। কারণ ফুলের রেণু  শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট তৈরি হতে পারে। তাই ফুলের মেলা বা, ফল গাছের থেকে দূরে থাকুন। স্মোকিং নৈব নৈব চ।

 

তবে যোগ ব্যায়াম করলে অনেকাংশেই শ্বাসকষ্ট থেকে ভালো থাকা যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস ভাল হয়। দম বাড়ে। এছাড়া দৌড়ঝাপ করলে, সকালে উঠে গরম জলে গারগল করলেও ভাল থাক যায়। তাতে গলা পরিষ্কার হলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়। যদিও সারাবছরই যাদের মিউকাস বা কফ তৈরি হওয়ার প্রবণকা থাকে, তাদের জন্য তুলসির পাতা খুব উপকারি। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভ্রমণ, ভালোখাওয়া দাওয়া সুস্থ করে তোলে হাপানি রোগীদের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.